ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ইব্রাহিম আকতারের গ্রুপ চালায় প্রশ্ন ফাঁসকারী-চাঁদাবাজরা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ৭:৩৮ এএম  (ভিজিট : ৭০৪)
কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁসকারী, কেউ বিবাহিত, চাঁদাবাজ আবার কেউ জামায়াত আদর্শে অনুসারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে একাধিকবার হয়েছে আলোচনা-সমালোচনাও।

মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন একই এলাকার রবিউল ইসলাম রবি। এই রবির বিরুদ্ধে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। আলোচিত এই প্রশ্ন ফাঁস মামলার চার্জশিটে রয়েছে রবির নাম। এমন গুরুতর অভিযোগ থাকলেও জবি ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কান্ডারি এই রবি। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের পাশে চাঁদাবাজি, টিএসসির দোকান ও ক্যাম্পাসের পাশের দোকানগুলোর নিয়ন্ত্রণও রবির দখলে। অভিযোগ আছে চাঁদার টাকায় রবি গ্রামে গড়েছেন বিশাল বাড়ি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মিরাজ হোসেন। তিনি ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ফারজানা আফরিন তামান্না নামে একজনকে বিয়ে করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের এই বিয়ের একটি কাবিননামা ও দুজনের অন্তরঙ্গের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা সময় দেখা যায়। এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে সেসব নথিও। বিবাহিত হয়েও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবুও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া মিরাজই সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে ক্যাম্পাসের আশপাশে সদরঘাট এলাকায় চাঁদাবাজিতে নেতৃত্ব দেন। এসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আকতারের রাজনীতির সেনাপতি যেন মিরাজ। ক্যাম্পাসে তাকে গাড়ি বিলাস করতেও দেখা যায়। সেই গাড়ি চাঁদাবাজির টাকাই কিনেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক আকতারের অন্যতম গ্রুপ লিডার শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী বাবু টিএসসি, সদরঘাটসহ পুরান ঢাকার ফুটপাথের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে।

আকতারের নারী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন রিশাত আরা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। রিশাত আরার একটি ছবিতে দেখা যায় জামায়াত অনুসারী আইনজীবী এক নেতার আইডি কার্ড নিয়ে প্রচারণা করছেন।

বিতর্কিত এসব নেতাকর্মীদের স্বর্গরাজ্য ইব্রাহীম-আকতার কমিটি হলেও পদধারী ক্লিন ইমেজের নেতারা টিকতে না পেরে অনেকে রাজনীতি ছেড়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করে মিরাজ বলেন, আমার বিয়ে সম্পর্কিত ঘটনাটি মূলত ঘটেছে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার মাধ্যমে। অনেকে মনে করেছে ওই ছবি আমিই দিয়েছি ফেসবুকে। তা সত্য নয়। অভিযুক্ত রবি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। তদন্তের সময়ই আমাকে বাদ দেওয়া হয়। আর আমি চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত নই। কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে এগুলো করতে পারে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবুল হোসেন পরাগ বলেন, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন ফাঁস, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকে তা হলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমার মনে হয় রবির বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আর চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।

এদিকে সম্প্রতি গণমাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মদ্যপানের ছবি প্রকাশসহ শাখা ছাত্রলীগের টেন্ডার বাণিজ্যের খবর সামনে আসায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান গণমাধ্যমে বলেন, ছাত্রলীগে প্রশ্ন ফাঁস, চাঁদাবাজি এ ধরনের কোনো কাজের স্থান নেই। যেহেতু ঘটনাটি অনেক আগের তাই যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময়ের আলো/জিকে




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close