ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পল্লী বিদ্যুতের ‘অনুমাননির্ভর বিল’
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ৬:১০ এএম  (ভিজিট : ২২৬)
পটুয়াখালীর বাউফলে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল করেছে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। সোমবার বেলা ১১টায় পল্লী বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিসের সামনে এ ঝাড়ু মিছিল করা হয়। গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, মে মাসের তুলনায় জুনে দ্বিগুণ বা তিনগুণ বিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ‘অনুমাননির্ভর বিল’র কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ বাউফল জোনাল অফিস। বিষয়টি সংশোধনের আশ^াস দিয়েছে ইউএনও ও পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত জুনে পল্লী বিদ্যুৎ বাউফল জোনাল অফিসের আওতায় থাকা গ্রাহকদের স্বাভাবিক বিলের চেয়ে দুই বা তিনগুণ বিল করা হয়েছে। এই বিলের কারণ জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সন্তোষকজন উত্তর না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে অশোভন আচরণ করেন। আর এরই প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জোনাল অফিসের সামনে জড়ো হয়ে সোমবার ঝাড়ু মিছিল করে। 

মিছিলে আসা কনকদিয়া ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. শাহ আলম তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ৮২ টাকা। অথচ জুন মাসের বিল আসে ৪০৪ টাকা। 

কালাইয়া ইউনিয়নের মো. আসাদুল অভিযোগ করেন, গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২৭৩ টাকা। অথচ জুনের বিদ্যুৎ বিল আসে ১ হাজার ১১২ টাকা। 

একই অভিযোগ দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবারিয়া গ্রামের মো. মনির রাড়ির। গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২২৫ টাকা। অথচ জুনে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ হাজার ৭৪ টাকা। 

দাশপড়া গ্রামের মো. নুর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ৬৫৮ টাকা। অথচ জুনে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২ হাজার ৭০৯ টাকা। 

বাউফলে এ রকম হাজার হাজার গ্রাহক জুন মাসে পল্লী বিদ্যুতের এই ভুতুড়ে বিলে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এই বিলের হাত থেকে নিস্তার পেতে তারা বিদ্যুৎ অফিসে গেলেও কোনো প্রতিকার পাননি। এ সময় পল্লী বিদ্যুতের দ্বায়িত্বশীল কাউকে অফিসে না পেয়ে বিক্ষোভকারী গ্রাহকরা ইউএনও মো. বশির গাজির কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. বশির গাজী বলেন, বেশ কয়েকজন বিদ্যুৎ গ্রাহক আমার কার্যালয় আসেন এবং তাদের সমস্যার কথা অবিহিত করেন। আমি বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক পল্লী বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিসের এজিএম গগন সাহার সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে জানান, কয়েক দফা ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে মিটার রিডাররা অধিকাংশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউনিট সংগ্রহ করতে পারেননি। অনুমাননির্ভর বিল করেছেন। তাই অতিরিক্ত বিল এসেছে। গ্রাহকরা অফিসে এসে আপত্তি জানালে সংশোধন করে দেবেন।

এ ব্যাপারে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. মজিবুর রহমান বলেন, বিক্ষোভের বিষয়টি আমার নজরে আসায় আমি পর্যবেক্ষণ করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব জায়গার মিটার রিডিং আনা হয়নি। সেই সব এলাকায় অনুমাননির্ভর বিল করা হয়েছে। এ কারণে অতিরিক্ত বিল এসেছে। সেগুলো সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close