ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ভাঙন ঠেকাতে মরিয়া পদ্মাপারের মানুষ
‘সরকারি লোকজন কোনো ব্যবস্থাই নিল না, এহন নিজেরাই বস্তা ফেলছি’
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ৬:০৭ এএম  (ভিজিট : ১৮০)
‘সরকারি লোকজন তো কোনো ব্যবস্থাই নিল না, এহন আমরা নিজেরাই বালু ও প্লাস্টিকের বস্তা কিনে তাতে বালু ভরে নদীর ভাঙা জায়গায় ফেলছি। মনের শান্তি মেটাতেই এ কাজ করছি। তা ছাড়া তো আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’

সোমবার (৮ জুলাই) দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন সাত্তার মেম্বার পাড়া নদীভাঙন কবলিত স্থানে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন ষাটোর্ধ্ব শেখ আলমাস। তিনি আরও বলেন, ভাঙন ঠেকাতে আমরা বস্তা ফেলছি না, নদীর ঢেউ যেন একটু কম লাগে সে জন্য আমরা ভাঙনকবলিত স্থানে এলাকাবাসীরা মিলে আপাতত আড়াইশ বালুর বস্তা ফেলছি। আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সরেজমিন দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনকবলিত স্থানে ভুক্তভোগী নারী, পুরুষ ও শিশুরা বালু মাথায় করে নিয়ে নদীর পাশে প্লাস্টিকের পাতলা বস্তায় ভরছে। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ভুক্তভোগী রোজিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে সুখেই ছিলাম। কিন্তু নদী আমার স্বপ্ন নিয়ে গেছে। সরকার শুকনো সময় কোনো বস্তা ফেলে না, বন্যা এলে সব ভেঙে গাঙ্গে নিয়ে যায়। আমার ঘর পর্যন্ত ভেঙে চলে গেছে। এখন কোথায় যাব, কী করব, চিন্তায় আছি।

৬ নম্বর ঘাটের মুদি দোকানদার সিরাজ মৃধা বলেন, গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫০ মিটারের ওপরে বসতভিটা নদীগর্ভে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা যদি আগেই কিছু জিও ব্যাগ ফেলত, তা হলে আজ আমার দোকানটা ভাঙনের কবলে পড়ত না। সব আমাদের কপাল, কী আর বলব। এ জন্য নিজেরাই টাকা দিয়ে পাতলা বস্তা কিনে তাতে বালু ভরে ফেলছি।

ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহ শেখ বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বাররা শুধু ভোটের সময় এসে প্রতিশ্রুতি দেয়, আর কোনো খবর থাকে না। এবার ভাঙন দেখার জন্য সবাই আসছে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেই।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দৌলতদিয়ায় যে ৭টি ঘাট রয়েছে তার আশপাশে ভাঙন দেখা দিলে সেটি আমরা জিওব্যাগ দিয়ে রক্ষা করতে চেষ্টা করি, তা ছাড়া প্রতি বছরে তীব্র ভাঙনে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে থাকে। ঘাট রক্ষায় যে কাজগুলো লাগবে সেটিই বিআইডব্লিউটিএ করে থাকে। আমরা আজ ঘাটে এসেছি- দেখলাম ভাঙনকবলিত স্থান, ঘাট রক্ষার জন্য কিছু করতে হলে আমরা করব।

গোয়ালন্দের ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ৬ নম্বর ঘাটের সাত্তার মেম্বার পাড়ায় যে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেটির ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যে ডিসিকে জানিয়েছি, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close