প্রকাশ: সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ১০:২৫ পিএম (ভিজিট : ৪০২)
বাউফল পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল করেছে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় পল্লী বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিসের সামনে এ ঝাড়ু মিছিল করা হয়।
জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ বাউফল জোনাল অফিসের আওতায় গ্রাহকদের গত জুন মাসে স্বাভাবিক বিলের চেয়ে দুই বা তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। যা গ্রাহকদের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের চেয়ে অনেক বেশি। এ অস্বাভাবিক বা ভুতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে গেলে তারা সন্তোষনক কোন উত্তর না দিয়ে বরং গ্রাহকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। আর এ কারণে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জোনাল অফিসের সামনে জড়ো হয়ে ঝাড়ু মিছিল করে।
কনকদিয়া ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. শাহ আলম তালুকদার অভিযোগ করেন, গত মে মাসের তার বিদ্যুৎ বিল আসে ৮২ টাকা। অথচ জুন মাসের বিল আসে প্রায় পাঁচগুণ ৪০৪ টাকা। কালাইয়া ইউনিয়নের মো. আসাদুল অভিযোগ করেন, গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২৭৩ টাকা । অথচ জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল আসে ১ হাজার ১১২ টাকা। দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবারিয়া গ্রামের মো. মনির রাড়ি গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২২৫ টাকা। অথচ জুন মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ১ হাজার ৭৪ টাকা। দাশপড়া গ্রামের মো. নুর হোসেন অভিযোগ করেন, গত মে মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ৬৫৮ টাকা। অথচ জুন মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২ হাজার ৭০৯ টাকা। এরকম হাজার হাজার গ্রাহকের গত মে মাস থেকে এই জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল দুই-তিনগুণ বেশি হয়েছে। তাই এই ভুতুড়ে বিলের হাত থেকে প্রতিকার পেতে তারা আজ (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ঝাড়ু মিছিল করেছেন। এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ এর দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে অফিসে না পেয়ে বিক্ষোভকারী গ্রাহকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজির কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, বেশ কয়েকজন বিদ্যুৎ গ্রাহক আমার কার্যালয় আসেন এবং তাদের সমস্যার কথা অবিহিত করেন। আমি বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক পল্লী বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিসের এজিএম কম প্রকৌশল গগন সাহার সাথে কথা বলি। তিনি আমাকে জানান, কয়েক দফা ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে মিটার রিডাররা অধিকাংশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইউনিট সংগ্রহ করতে পারেননি। অনুমান নির্ভর বিল করেছেন। তাই অতিরিক্ত বিল এসেছে। গ্রাহকরা অফিসে এসে আপত্তি জানালে তার সংশোধন করে দিবেন।
এ ব্যাপারে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. মজিবুর রহমান বলেন, বিক্ষোভের বিষয়টি আমার নজরে আসায় আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব জায়গার মিটার রিডিং আনা হয়নি। সেই সব এলাকার অনুমান নির্ভর বিল করা হয়েছে। যে কারণে অতিরিক্ত বিল এসেছে। সেগুলো সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে।
সময়ের আলো/আরআই