ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ৪০ কিলোমিটার যানজট

কোটা বিরোধী আন্দোলন

প্রকাশ: সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ৬:১৫ পিএম (ভিজিট : ৫১৪)

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ‘কোটা বৈষম্যর প্রতিবাদে বাংলা ব্লকেড’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় মহসড়কে প্রায় ৪০ কিলোমিটারের মত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধা যার, মেধা যার; চাকরি তার চাকরি তার’, ‘মুক্তি যুদ্ধের মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘স্বাধীনতার মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘রেলের ৪০% কোটা মুক্ত করে রেল সম্পদ রক্ষা করো’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি।

বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধের বিষয়ে আইন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র রাফি উল হক বলেন, বাংলার চাকরির বাজার এমনিতেই খুবই প্রতিযোগিতা মূলক। তার উপর আবার সরকারি চাকরিতো সোনার হরিণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের সরকারের একটি পরিপত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সকল প্রকার কোটা বাতিল ঘোষণা করে কিন্তু সাম্প্রতিক হাইকোর্টের একটি রায়ে ওই পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণার পরপরই কোটা আন্দোলন আবার প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জনপ্রশাসনে বর্তমানে মেধাবীদের খুবই অভাব, এসব কোটাধারি নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে এই খাতটাকে দুর্নীতির চরম লেভেলে নিয়ে গেছে, যা সাম্প্রতিক কয়েকটা ঘটনা পরিলক্ষণ করে বুঝা যায়। তাই বাংলার অপামর ছাত্রসমাজ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায় এবং সরকারের স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরিতে সহায়তা করতে চায়।

ময়নামতি হাইওয়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বারবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি। দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সদর দক্ষিণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এমরানুল হক মারুফ বলেন, আমরা সকল ধরনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। আমরা উপরের মহলের সাথে কথা বলতেছি সেখান থেকে যে ধরনের নির্দেশ আসবে আমরা সেভাবে কাজ করবো।

সদর দক্ষিণের ইউএনও রুবাইয়া খানম বলেন, আমরা কিছুক্ষণ পর তাদের শান্ত করার চেষ্টা করবো। অন্তত রাস্তার এক সাইড যেন ছেড়ে দেয়। তারপর তারা না মানলে এজিএম স্যার আসবেন। তারপরও না মানলে ডিসি স্যার আসবেন।

এছাড়াও, গতকাল রোববার ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ত্যাগ করেন।

সময়ের আলো/আরআই