প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ৬:৫৭ পিএম (ভিজিট : ২৮৪)
সকালে ঘুম থেকে উঠে বোনের সাথে খেলা করছিলো ভাই বোন, তখন তাদের মা এসে ‘কাপে বিষ দিয়ে বলে শরবত খাও। প্রথমে আমি খায় তারপরে আমার ছোট বোনকে খাওয়ায় আমার মা। আমি আর আমার বোন ওই শরবত খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ি, আমার আব্বা মাঠে থেকে এসে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে আমার ছোট বোনটা মরে গেছে আমি হাসপাতালে ভর্তি’।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে এসব কথা বলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু আলিফ আলী (৫)। এর আগে গত বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লারদর্গা সোনাইকুন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষপানে মিম খাতুন ৩ নামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার আপন ভাই আলিফ আলী অসুস্থ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত মিম খাতুন ও অসুস্থ আলিফ সোনাইকুন্ডি গ্রামের কৃষক শুভ আলীর মেয়ে। শুভ বলেন, আমি মাঠে ছিলাম। দুপুর ১টার দিকে মাঠ থেকে বাড়িতে এসে দেখি শিশুরা কান্নাকাটি করছে তাদের মুখ থেকে লালা ঝরছে। পরে তাদের নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। তাদের অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেইদিন বিকেল ৩টার দিকে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। ছেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার আমার বউকে পুলিশ আটক করে জেলে পাঠিয়েছে। আসলে কী করে বিষ খেয়েছে বা কী ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না। আমি মাঠে কাজ করছিলাম। বাসায় এসে দেখি ছেলে মেয়ে কাঁদছে, চিৎকার করছে, তাদের মুখ থেকে লালা ঝরছে।
মিম ও আলিফের দাদি রশুনা খাতুন বলেন, কীভাবে বিষ খেয়েছে তা জানি না। আমি ওই সময় বাড়িতে ছিলাম না। দুজনেই শিশু, হয়তো খেলতে খেলতে ভুল করে বিষ খেয়ে ফেলেছে। এটা ধারণা করছি। আসলে কী ঘটেছে সেটা জানি না।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, বিষপানে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষপানে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরেক শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মামলা করেনি। এলাকায় বিভিন্ন গুঞ্জন চলছে। এজন্য শুক্রবার দুই শিশুর মা নাহিদা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা তার বাবাকে বলেছি, অভিযোগ থাকলে মামলা দিতে।
সময়ের আলো/জেডআই