ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আনোয়ারায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা
প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম  (ভিজিট : ৩৪২)
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় শাহনাজ আক্তার মিতু (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রাইভেট শিক্ষকের অপমানে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করে পরিবার। তবে ওই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে নানা ধোঁয়াশা। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নে কৈখাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষপানের পর পরিবারের সদস্যরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত ২টার সময় মৃত্যু হয়। এর পর পুলিশ আইনি ব্যবস্থা শেষ করে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ৩টার সময় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তবে ওই শিক্ষার্থীর কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা  নিয়ে ধোঁয়াসা দেখা দিয়েছে। তবে মিতুর ফুফু মনোয়ারা বেগমের দাবি স্থানীয় প্রাইভেট শিক্ষকের অপমানের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ভাইজি পাশ্ববর্তী  শিক্ষক মামুনের কাছে গত ১০ বছর ধরে প্রাইভেট পড়তো। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহ সে পড়তে যাচ্ছে না। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক মামুন মিতুর মায়ের কাছে ফোন দিয়ে মিতুকে পড়তে যেতে বলে। এর পর মিতু তার মাকে বলে আমি অন্য শিক্ষকের কাছে পড়ব তার পরেও তার কাছে আর পড়ব না। এর পর শিক্ষক তার মায়ের কাছে আবার ফোন দেয় তার মাও তাকে পড়তে যেতে জোর করে এসময় শিক্ষক মামুন তাকে বকাবকিও করে। এর পর সে বিষপান করে। আমাদের ধারণা শিক্ষক মামুনের ভিতর কোন রহস্য রয়েছে। 

জানা যায়, নিহত শাহনাজ আক্তার মিতু (১৬) উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন ইউনিয়নের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। তার মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। তারা দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মিতু সবার বড়। সে পরৈকোড়া নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল। গত দুই বছর আগে তার বাবার মৃত্যুর পর সে একটি ফার্মেসি করে পরিবার চালাত এবং নিজে পড়ত। 

এদিকে ঘটনার পর এলাকায় দুইটি বিষয় গুঞ্জন দেখা দিয়েছে, মামুন নামের স্থানীয় এই শিক্ষকের প্রাইভেটের টাকা দিতে না পারায় ৭/৮ দিন পড়তে যায়নি। যার কারণে ফোনে ঐ শিক্ষক মিতুকে মানসিক অত্যাচার করে এতে অপমানিত বোধ করে আত্মহত্যা করে সে। এছাড়াও তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস এর সাথে স্থানীয় কারো পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। তাদের অনৈতিক চলাফেরা সে মেনে নিতে পারেনি। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন বলেন, মিতু একটি মেয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে শুনেছি। মেয়েটির বাপ ছিল না।  কি কারণে আত্নহত্যা করছে সেটা এখনো বুঝতে পারছি না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক মামুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ বলেন, বিষপান করে একটি মেয়ের আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করে পরিবারের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। এনিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close