ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

এক দিনে পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেজিতে ২০ টাকা
৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচের কেজি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৬:২২ পিএম  (ভিজিট : ৩৭২)
পেঁয়াজের বাজার এখন টালমাটাল অবস্থা। প্রতিদিনই দাম বড়ছে অতি প্রয়োজনীয় পণ্যটির। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। ফলে এক দিন আগেও যেখানে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ, সেখানে শুক্রবার (৫ জুলাই) বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আমদানি হওয়ায় বাজারে সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে, এ জন্যই দাম বাড়ছে। আমদানি বাড়ানো না গেলে অল্প দিনেই পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা ছাড়াবে।

এদিকে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে আদা-রসুনেরও। প্রতি কেজি আদায় ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়, আর কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। এছাড়া বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কাঁচা মরিচ কোনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮০, কোনো বাজারে ৩০০, আবার কোথাও ৩৫০ টাকাতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা এখন কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন যে যার ইচ্ছে মতো দামে। বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণেই কাঁচা মরচের দাম বেড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। একই অযুহাতে বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরণের সবজির। শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর চারটি খুচরা বাজারে আগের দিন বৃহস্পতিবার ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও পণ্যটির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুন দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের।

গত কোরবানি ঈদের আগে থেকেই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছিল। ঈদুল আজহার পরপর তা একপর্যায়ে ৩৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর দাম কিছুটা কমলেও এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন খুচরা বাজারে ২৮০ টাকা বিক্রি হলেও পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রেতারা দাম আরও বেশি চাইছেন। তবে কারওয়ান বাজারের দু-একটি দোকানে মানভেদে কাঁচা মরিচ ১৮০-২৪০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম কমলেও সব ধরনের সবজি ও মাছের বাজার চড়া। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি দাম কেজিতে ২০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখী কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে করলার কেজি ১২০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ২০০ টাকা এবং শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে ফুলকপি প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৫০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা এবং গাজর ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এ ছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা আঁটি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লারের কেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারে সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিমের ডজন ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৭০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৪০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, শোল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে এক হাজার টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close