প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৭:৩৮ এএম (ভিজিট : ৪১৮)
মিয়ানমারের সীমান্তের ওপার থেকে রাতভর মর্টার শেল ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে; যা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ছিল। সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসা সেই শব্দে টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
সীমান্তের স্থানীয়রা জানান, টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়ার বিস্ফারণ এখনও থেমে থেমে অভ্যাহত রয়েছে। রাতভর বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনে রাত পার করেছে টেকনাফ সীমান্তের মানুষ; যা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা। আঙ্কিত হয়ে উঠেছে টেকনাফবাসী।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সংঘাত অনেক বেড়ে গেছে। বিদ্রোহীরা মংডু শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্য একের পর এক হামলা হচ্ছে। আর এসব কারণে মংডু শহরের পশ্চিম সীমান্তের টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং ইউনিয়ন ও দক্ষিণের সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, টানা পাঁচ দিন শান্ত থাকার পর বুধবার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাতভর বিস্ফোরণের আগে এমন তীব্র ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষ সারা রাত জেগে কাটিয়েছে।
সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকট শব্দের কারণে বাড়িঘরে বসবাস করা যাচ্ছে না। এখানকার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কোনো রোহিঙ্গা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা রাত-দিন কঠোর নজরদারি করছে।
সময়ের আলো/আরএস/