ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আকস্মিক নেমে আসে ৪০ হাতি, তাণ্ডব চালায় পুরো গ্রামে
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ২:৩৯ এএম  (ভিজিট : ২৪৬)
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও গ্রামের ফের তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। বুধবার রাত ৯টার দিকে ৩০-৪৭টি বন্যহাতির একটি দল এ তাণ্ডব চালিয়ে ৫টি পরিবারের বসতঘরসহ সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। খেয়ে ও বিনষ্ট করে সাবাড় করেছে ওইসব পরিবারের গোলায় থাকা ধান, ভেঙে চুরমার করেছে ঘরে থাকা আসবাবপত্র। পায়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করেছে আমনের বীজতলা।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নাকুগাঁওসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতি অবস্থান করে ফসলহানিসহ নানা তাণ্ডব চালিয়ে আসছিল। বুধবার রাত ৯টার দিকে ৩০ থেকে ৪০টি বন্যহাতির একটি দল আকস্মিক নাকুগাঁও গ্রামের ভারত সীমান্তঘেঁষা রঞ্জিত ঘোষ, সুমন রবিদাস, গ্রাম পুলিশ নিরঞ্জন রবিদাস, সিন্ধু ঢালু ও রূপেন ঢালুর বসতবাড়িতে একযোগে হানা দেয়। এসময় ওইসব বাড়ির সদস্যরা ভয়ে ছোটাছুটি করে চিৎকার শুরু করে।

বন্যহাতির দলটি ওইসব পরিবারের রান্না ঘর, গোয়াল ঘর ও বসত ঘরসহ মোট ৬টি ঘর ভেঙে ফেলে। খেয়ে ও ছিটিয়ে সাবাড় করে গোলায় থাকা খোড়াকির ধান ও চাল। ভেঙে চুরমার করে ঘরে রাখা আসবাবপত্র। বাড়ির টিউবওয়েল থেকে শুরু করে আমনের বীজতলা কিছুই রেহাই পায়নি বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে। বন্যহাতির আক্রমণে আহত হয় একটি গরু। বাড়ির গাছপালাও খেয়ে এবং ভেঙে বিনষ্ট করে।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং হৈ-হুল্লোড় করে, সার্চলাইট জ্বালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে ও নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে পে-লোডার নিয়ে শব্দ ব্যবহার করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে পাহাড়ে ফিরে যায় বন্যহাতির দলটি।

এদিকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরকারের ঘোষিত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। ক্ষতিগ্রস্ত রঞ্জিত ঘোষ জানান, সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বন্যহাতি বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় ঘরে থাকা ১০ কাঠা জমির ধান, খোড়াকির চাল, গরুর খাদ্য খেয়ে ও ঘরে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। হাতির আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি গরু এমনকি রান্নাঘরও।

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাতির তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, ধান-চাল, আসবাবপত্র ও আমন বীজতলাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বীজতলা এবং ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকাবাসীসহ এলিফেন্ট রিসেপন্স টিমের সদস্যরা মিলে রাতে হাতি তাড়ায়। আমরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close