ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হুমকিতে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর
গড়াই থেকে অবাধে বালু উত্তোলন
প্রকাশ: সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ২:১১ এএম  (ভিজিট : ২৪৪)
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া এলাকায় গড়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী-তীরবর্তী ফসলি জমিসহ বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা। প্রতি বছরই নতুন করে বাড়ছে ভাঙনের পরিধি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। 

এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, নারুয়াতে আমাদের কোনো বালুমহাল নেই। যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে তা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নারুয়া খেয়া ঘাটের অদূরে বাকসাডাঙ্গী এলাকায় গড়াই নদীর মাঝখানে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। স্থানীয়রা বলছেন, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত নারুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদশা মোল্লাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি। কোনো ধরনের ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করায় একদিকে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে খেয়ালখুশিমতো বালু উত্তোলনের কারণে নদীর পানি প্রবাহের গতি পরিবর্তন হয়ে নদীর পার ভেঙে এলাকার ফসলি জমিসহ বাড়িঘর নদীতে বিলীন হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বাদশা মোল্লা বলেন, আমি মাগুরা জেলা থেকে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। 

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর মাঝখানে ও কুল ঘেঁষে তিনটি ড্রেজার মেশিন বসানো। এসব ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এসব বালু টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাচ্ছে বাল্কহেডে করে। আবার পাইপ লাগিয়ে নদীর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন বালুর চাতালে। 

ড্রেজার মেশিন চালক মিজানুর রহমানের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা কুষ্টিয়া থেকে এসেছি। নারুয়ার বাদশা মোল্লা আমাদের ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন। আমরা মাঝনদী থেকে বালু তোলার পরে কূলে গিয়ে আনলোড করি। প্রশাসন বন্ধ করলে আমরা চলে যাব।

কথা হয় বাকসাডাঙ্গী গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে। এ সময় তারা প্রত্যেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে পাকা রাস্তাসহ বাড়িঘর ও ফসলি জমি প্রতিনিয়ত নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নদী থেকে বালু তোলার কারণে নারুয়া বাজার থেকে বাকসাডাঙ্গী হয়ে কোনাগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেশিরভাগ অংশ নদীতে চলে গেছে। বাকি যতটুকু আছে এটুকু চলে গেলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল নারুয়া হাটে নিতে পারবে না। সেই সঙ্গে এই সড়কটি ভেঙে গেলে বাকসাডাঙ্গী, কোনাগ্রাম ও চর-ঘিকমলার মাঠে নদীর পানি ঢুকে পড়বে। এতে করে কৃষকদের পক্ষে আর ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close