ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ফটিকছড়িতে তীব্র লোডশেডিং, অতিষ্ঠ গ্রাহক
প্রকাশ: রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪, ৪:৫০ পিএম  (ভিজিট : ৬২২)
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দুই পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার গ্রাহক ঘন-লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, দিনে-রাতে ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে চাহিদামতো বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না বলে লোডশেডিং বেড়েছে। সহসা সমস্যার সমাধান হবে। উপজেলার ৬টি উপকেন্দ্রের এলাকার প্রায় ৭ লাখ লোকজন বিদ্যুৎ বিভাগের সেবা গ্রহণ করেন।

উপজেলার পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের চিকিৎক বাদল চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘দিন-রাতে সমানে বিদ্যুৎ যায় আর আসে। কখনো একঘণ্টা আবার কখনো টানা দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। এ অবস্থা চলতে পারে না।’

হাপাঁনিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক গ্রাম সদরের বাইরে বলে এখানে লোডশেডিং হয় বেশি। সদরে বিদ্যুৎ গেলেই তারা বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গিয়ে ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানায়। কিন্তু ভূজপুরের মানুষ তা করতে পারে না বলেই এখানে
লোডশেডিং হয় বেশি।’

রোসাংগিরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সেলিম উদ্দিন ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘সরকার যে বলে হাজার হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেশ অনেক এগিয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? দিন-রাত লোডশেডিং লেগেই আছে।’

নাজিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মো. এনাম উদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় প্রতিদিন বিদ্যুৎ চলে যায়। মোমবাতি কিংবা চার্জলাইট জালিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া চালাতে হয়।’

ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী দিলশাদ আকতার বলে, ‘সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ থাকেনা বললেই চলে। এতে করে রুটিনমতো নিয়মিত লেখাপড়া করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সামনে পরীক্ষা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।’

হারুয়ালছড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘চলতি গরম মৌসুমের শুরু থেকেই লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। গত বছর তো এমন সমস্যা ছিল না। এবার তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের বাসার ফ্রিজ ও টিভি দুটোই একাধিকবার নষ্ট হয়েছে।’

ভুজপুরের ব্যবসায়ী গুরা মিয়া বলেন, ‘দিনের বেলায় জেনারেটর দিয়ে কোনোমতে নিজের ব্যবসা চালাচ্ছি। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এ অবস্থা থেকে কি আমাদের কোনো উত্তরণ হবে না?’

দাঁতমারা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘বৃষ্টি-বাদল হলে একটা কথা ছিল। আকাশে সামান্য একটু মেঘ দেখা দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। কখন আসে তারও কোন ঠিক ঠিকানা থাকেনা। এটা কোন কথা হল?’

উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উপজেলার সমন্বয় সভাও কয়েকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের খেয়ালীপনা মেনে নেওয়া যায়না। তাদের এমন কাজ কোনভাবেই কাম্য নয়। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমরাও প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।’

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. সারওয়ার জাহান বলেন, ‘উপজেলার ৬টি উপকেন্দ্রের গ্রাহকদের চাহিদা ৩০-৩৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ। সরবরাহ হচ্ছে ১৫-২০ মেঘাওয়াট। জাতীয় সমস্যার কারণে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না বলে কিছুটা লোডশেডিং হয়। এছাড়া আবহাওয়া খারাপ হলে বিদ্যুৎ প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। আশা করছি সহসা বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।’

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close