ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড রাস্তার আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী বাস উল্টে আবুল কাসেম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয় অন্তত আরো ১৪ জন। তার বাড়ি চট্টগ্রাম বড়পুলস্থ নিউ মুরিং আবাসিক এলাকায়।
শনিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ফকিরহট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরের বড়পোল থেকে ছেড়ে আসা বাসটির গন্তব্য ছিল ফেনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চাকা ফেটে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। বাসটি সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে উল্টে ঢাকামুখী লেন থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনের ওপর আছড়ে পড়ে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মো. মোস্তফার ছেলে আরিফ (৩০), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল মেতালেব (৫২) এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কমল চন্দ্র নাথ স্বপ্না রানী (৪৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. আশেক বলেন, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার সবুর তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।
ফায়ার স্টেশন উপ- সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় আমরা একজনের মরদেহ এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আর নিহত ব্যক্তির মরদেহ স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ সময়ের আলোকে বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একজন বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৬৫ হবে। পরিবারের কাছে মরদেহ হহস্তান্তর করা হয়েছে বলে।