মায়ানমার মংডু শহরে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত তীব্র রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার সারা রাত চলছে যুদ্ধ। যুদ্ধের কারণে মায়ানমার মংডু শহরের হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিজ গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে অন্য গ্রামে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৮টা থেকে বুধবার (২৬ জুন) সকাল পর্যন্ত সারা রাত মায়ানমার মংডু শহরে চলছে আকাশ পথে বিমান ও মর্টারশেল দিয়ে হামলা। মায়ানমার যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত শহরে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কে বিরাজ করছে।
রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জানা যায়, মায়ানমার মংডু শহরে দিন দিন যুদ্ধের পরিস্থিতি বাড়ছে। যুদ্ধ বাড়ার কারণে মংডু শহরের হাদিবিল, নুরুল্লাপাড়া, হাইরপাড়া, মুন্নীপাড়া, সাইরা পাড়া, ফাতনজা, ফেরানপ্রু, সিকদারপাড়া, হারিপাড়া, হেতিল্লা পাড়া, নলবইন্না গ্রামে আরকান আর্মি অবস্থান নেওয়ায় সরকার বাহিনী আকাশ পথে বিমান ও ভারী অস্ত্রসহ মটারর্শেল দিয়ে হামলা চালাচ্ছে। এতে বাড়ি-ঘরে থাকা রোহিঙ্গারা অনেকে নিহত ও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা গ্রাম থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ শিশু পালিয়ে অন্য গ্রামে পাহাড়ের পাদ দেশে অবস্থান করছে। সরকার বাহিনী রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া খবর পাওয়া গেছে।
এই দিকে বাংলাদেশে সীমান্তে মঙ্গলবার রাত ৩ টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারে ভারী মর্টারশেলের শব্দ টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং পৌরসভার, সাবরাং শাহপরদীপ ঝিমন খালী ও কারান খালী, মৌলভীবাজার ওয়াব্রাং ফুলের ডেল নাফনদী সীমান্তের পূর্বে বসবাসকারীরা শুনতে পাই।
টেকনাফের হ্নীলা ফুলের ডেইলে এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ নোমান জানান, থেমে থেমে মিয়ানমারে ভারী মর্টারশেলের শব্দ সারা রাত শুনা যাচ্ছে। বাড়ি সীমান্তে বেড়িবাঁধের পাশে তাই শব্দ শুনতে পাই। এমন ভাবে শব্দ হয় নাফনদীতে এসে পড়ছে। সকালেও মর্টারশেলের বিকট শব্দ শুনা গেছে।
হোয়াইক্যং খারাং খালী এলাকার বাসিন্দা বাদশা জানান, রাতে আমার বাড়ির পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তে থেমে থেকে কয়েকটি মর্টারশেলের শব্দ শুনা গেছে। বুধবার রাতে থেকে শব্দ শুনা যায়। বজ্রপাতের বিকট শব্দ শুনছি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মায়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে নাফনদী সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে রাত-দিন নাফনদী ও সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি সব সময় প্রস্তুত।
সময়ের আলো/এএ/