ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

জরাজীর্ণ পাঠাগারে শূন্যের পথে পাঠক
প্রকাশ: রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪, ১:৪৯ এএম  (ভিজিট : ২৮২)
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একমাত্র সাধারণ পাঠাগারটি দিন দিন পাঠক শূন্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার সব স্থানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সাধারণ পাঠাগারটিতে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। বই পড়ার টেবিলগুলো নষ্ট, কোথাও ওপরের সিলিং ভেঙে পড়ার উপক্রম, নতুন করে কোনো বইও এ পাঠাগারে যোগ হয়নি।

এসব কারণে পাঠক সংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। পাঠকদের অভিযোগ সর্বত্র প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও এই পাঠাগারটি অযত্ন-অবহেলায় ক্রমেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তারা দাবি করছেন আধুনিক মানের প্রযুক্তিনির্ভর পাঠাগার গড়ে তুলতে পারলে এখানে আবারও পুরোনোদের পাশাপাশি অনেক তরুণ প্রজন্মের পাঠকও আসবেন।

উপজেলা পরিষদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন বই পড়ার আগ্রহ থাকায় পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সরকারি বাসভবনের সঙ্গে ছোট ছোট চারটি কক্ষে নব্বই দশকে সাধারণ পাঠাগারটি চালু করা হয়। পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকার উন্নতমানের বই পাঠকদের পড়ার জন্য রাখা হয়। পাঠকরা যেন পাঠাগারে এসে নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারেন সেই জন্য প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পাঠাগার দেখাশোনার জন্য একজন ইনচার্জ রাখা হয়েছে।
বর্তমানে নিয়মিত পাঠক মনিরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পাঠাগারে দিন দিন মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। হাতের নাগালে তথ্যপ্রযুক্তির সুবাদে বর্তমান প্রজন্মের যুবকদের মধ্যে পাঠাগারে যাতায়াতের কোনো আগ্রহ নেই। যার কারণে এক সময়কার পাঠক পরিপূর্ণ পাঠাগারটি দিনে দিনে পাঠক শূন্য হয়ে যাচ্ছে।

পাঠাগারটিতে একসময় দৈনিক পত্র-পত্রিকার পাঠকই ছিলেন প্রায় অর্ধশতাধিক। এ ছাড়া বিভিন্ন বই পড়ার জন্যও অনেক পাঠক এখানে ভিড় জমাতেন। সবসময় পাঠকে পরিপূর্ণ থাকত সাধারণ পাঠাগারটি। দিন দিন পাঠকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠাগার থেকে বিভিন্ন মূল্যবান বইগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বইয়ের পাশাপাশি আধুনিক মানের প্রযুক্তিনির্ভর পাঠাগারটি গড়ে তোলা হলে এখানে আবারও পাঠক সংখ্যা বাড়বে।

সাধারণ পাঠাগারের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে অনেক পাঠক এখানে এলেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে। প্রতিদিন যথাসময়ে পাঠাগার খোলা থাকলেও এখন হাতেগোনা মাত্র দুই-তিনজন পাঠক নিয়মিত আসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, উপজেলা সাধারণ পাঠাগারে আমি অনেকবার গিয়েছিলাম। বইগুলো পুরোনো এবং আসবাবপত্রগুলো নষ্ট হয়েছে এটা সত্য। তবে সাধারণ পাঠাগার ভেতরে হওয়ার কারণে বইপ্রেমী মানুষের কাছে পরিচিতিটা অনেক কম। তবে পাঠাগারটিকে সামনের দিকে বড় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারপরে নতুন বই ও আসবাবপত্রগুলো নতুন করা হবে। এটাকে আধুনিক মানের পাঠাগার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close