প্রকাশ: শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ১০:৩০ পিএম (ভিজিট : ৪১০)
নেত্রকোনায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) বৃষ্টি হয়নি। তবে শনিবার (২২ জুন) সকালে ভারী বৃষ্টি হলেও কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা কয়েকদিন পূর্বে ওই নদীর পানি ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এছাড়া জেলার অন্যান্য প্রধান নদ-নদীগুলো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে সামান্য হ্রাস পেয়ে এখনো বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কংশ, সোমেশ্বরী, ধনুসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বর্ষণ না হলে পানি বৃদ্ধি পাবেনা।
জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নসহ বারহাট্টা ও নেত্রকোনা সদর, খালিয়াজুরী উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে অনেক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ভাটি ও হাওর বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষাকালে তারা পানিবন্দি থাকে। তবে ওইসকল এলাকার মানুষের এটা অভ্যাসে পরিণত। এসব প্রতিকূলতার সাথেই তাদের বসবাস। তবে অতিরিক্ত পানি হলে বাড়ি-ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করলে তখন তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। এ ধরনের পরিস্থিতি এখনো হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, গত শুক্রবার বৃষ্টি হয়নি এবং শনিবার সকালে বৃষ্টি হওয়ার পর সারাদিন বৃষ্টি হয়নি। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। উব্দাখালী নদীর পানি আগের চেয়ে শনিবার পর্যন্ত ১৮ সেন্টিমিটার কমেছে। যা কয়েকদিন আগে উব্দাখালীর নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠলেও তারা এখন নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে উপজেলায় বন্যার কোন আশংকা নেই বলেও জানান তিনি।
সময়ের আলো/আরআই