সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনই নিজের বাসাবাড়িতে ফিরতে পারছেন না আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতরা। নদ-নদীর পানি কমলেও ধীরগতিতে কমছে সিলেট নগরীর নিম্নাঞ্চলের পানি। ফলে তলিয়ে রয়েছে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি। আর এতে বাড়ি ফেরার সময় দীর্ঘায়িত হচ্ছে বন্যা কবলিতদের।
শনিবার (২২ জুন) সিলেটের সকল নদ-নদীর পানি কমেছে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
গত ১৫ জুন থেকে সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যা আঘাত হানে। ঈদের দিনই বাড়িঘর ছেড়ে বন্যা কবলিতরা আশ্রয় নেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে। পরিবার পরিজন নিয়ে নগরীর ২৩টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ কাটান বন্যা কবলিত ২০ হাজার মানুষ। ঈদের দিন থেকেই সিলেট সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে নগরভবন কর্তৃপক্ষ। ওই দিন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া বন্যা কবলিতদের খিচুড়ি, শুকনো খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা দিতে থাকে নগরভবন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে সিলেটে অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢল কমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। নদী ও হাওরে পানির উচ্চতা কমলেও সিলেট নগরীর যতরপুর, চালিবন্দরসহ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতা কাটেনি। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বন্যা কবলিতরা এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও ৪/৫ দিনের মধ্যে তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে খাবারসহ অন্যান্য ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে নগরভবন কর্তৃপক্ষ।