প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম (ভিজিট : ৪৩৬)
ভয়াবহ বন্যা কবলিত সিলেট এলাকার দুর্দশাগ্রস্ত ৫’শ পরিবারে মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এর মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনা খাবার, মোমাবাতি ও দিয়াশলাই রয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ তুলে দেন।
সকালে রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকায় নয়া ঠাকুরের মাটি গ্রামে আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। কানাইঘাট খেয়াঘাটে বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে ১৩৫ জেরিকেন বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং মেছা গ্রামে ২৫০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই বিতরণ করেন তিনি। বিকেলে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ডা. কবীর চৌধুরী। সেখানেও ২৫০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, মোমবাতি ও দেশলাই বিতরণ করা হয়।
দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় রেড ক্রিসেন্ট সবসময় নিবেদিত মন্তব্য করে অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, বন্যাকবলিত দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ক্রিসেন্ট সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের যুব স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে নিরাপদ খাবার পানি বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তামূলক কাজে নিয়োজিত আছে।
এদিকে বন্যায় খাবার পানির সংকট দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে তিনটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ১৫০০ লিটার পানি বিশুদ্ধ করা যায়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা এই প্ল্যান্টের দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে পানি বিতরণ করছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা।এছাড়াও, সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট। এরইমধ্যে শুকনো খাবার ক্রয়বাবদ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে সোসাইটির পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত নয় লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সফরকালে বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে সোসাইটি কর্তৃক বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী।
এ সময় সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মোস্তাক আহমদ পলাশ, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন আলবার্তো বোকানেগ্রা, সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কর্মকর্তা ও যুব স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
সময়ের আলো/জেডআই