বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, ছোট ভাই জেলা পরিষদ সদস্য, সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু ও বর্তমান বিএনপি নেতা শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমুসহ ১৩ জনের নামে এবং ১৪ /১৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে বগুড়া সদর থানায় নিহত শরিফ শেখের মা হেনা বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ জোড়া হত্যা মামলা ৩ অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নিশিন্দারা খাঁপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে শেখ সৌরভ (২৬), একই এলাকার পুর্বপাড়ার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাঈম হোসেন (২৮), সুলতানগঞ্জ আলী সোনার লেনের ইসমাঈল হোসেনের ছেলে আজরিন রিফাত (১৯)। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওয়ালিউল্লাহ সাইহান।
ওসি আরও জানান, ঈদের রাতে পূর্ব পরিকল্পনা মতে শহরের নিশিন্দারা এলাকায় পরিচিতি জনকে দিয়ে মোবাইলে শরিফ ও রুম্মানকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। এরপর দুইজনকে সামান্য দূরত্বে দুই স্থানে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে অভিযুক্তরা বীর দর্পে স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনায় হোসেন নামে আরেক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু, তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সার্জিল আহমেদ টিপু, তৃতীয় বর্তমান কাউন্সিলর ও জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বগুড়া শাখার সাবেক সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু ও তাদের সহযোগী ১৩ জনের নামে ১৪/১৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে জোড়া হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এক বছরের মধ্যে রাজশাহী রেঞ্জের চার বারের শ্রেষ্ঠ পরিদর্শক বগুড়া সদর থানার (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে না হলে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে। এ জোড়া হত্যা মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।