ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে শোলাকিয়ায় ১৯৭তম ঈদের জামাত
প্রকাশ: সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪, ৪:৪৪ পিএম  (ভিজিট : ৪২৬)
দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কি‌শোরগ‌ঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। জামাত শুরু হয় সকাল ৯ টায়। এখানে এক সাথে নামাজ আদায় করেন লক্ষাধিক মুসল্লি। জামাতে ইমামতি করেন শহরের বড়বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান। জামাত‌কে ঘিরে ছিলো নিশ্চিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

শোলাকিয়ায় এবার ছিলো ১৯৭ তম ঈদুল আজহার জামাত। সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৯টায় শুরু হয় ঈদ জামাত। এর আগে মুসল্লিরা দলে দলে আসতে থাকেন ঈদগাহের দিকে। দূরের মুসল্লিদের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করে। সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং পৌনে ৬ টায় ভৈরব থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেন দুটি কিশোরগঞ্জ পৌঁছায় সকাল ৮টায়। নামাজ শেষে দুটি ট্রেনিং নিজ গন্তব্যে ফিরে যায়।

প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন এই ঈদগাহে লাখো মুসল্লির সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়, এমন বিশ্বাসে প্রতি বছর ঈদের জামাতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের লা‌খো মুসল্লি। এবারও বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা এ মাঠে নামাজ পড়তে আসেন।

নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট, ৫ মিনিট ও দুই মিনিট আগে বন্দুকের গুলি ছুড়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি ঘোষণা করা হয়। জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ।

কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানসহ বিশিষ্টজনেরা এ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এ দিকে জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চার স্তরের নিরাপত্তা বল‌য়ে ছিলো পুলিশ-র‌্যাব ছাড়াও ২ প্লাটুন বিজিবি। মাঠে প্রবেশের আগে মুসল্লিদের চারটি নিরাপত্তা চৌকি পার হতে হয়। প্রতিটি প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশির পর আর্চ ওয়ের ভেতর দিয়ে মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হয় মাঠের ভেতর ও চারপাশ। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের নামাজ শেষ করতে পারায় শুকরিয়া আদায় করেন ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। এবার শোলাকিয়া মাঠে লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, জামাতকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। যার ফলে শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ শেষ হয়েছে এবং মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে তাদের বাড়িতে ফিরতে পেরেছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদ আবুল কালাম আজাদ জানান, শোলাকিয়ায় এবার আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ শেষ হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। লক্ষাধিক মুসল্লি একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন বলেও জানান তিনি।

নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাঠের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান।

১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে এক লাখ ২৫ হাজার বা ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি এক সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া।’ যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত। 

প্রতিবছর ঈদের সময় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম হয়। তবে কুরবানির আনুষ্ঠানিকতার কারণে বরাবরের মতো এবারও ঈদুল আজহার জামাতে লোক সমাগম কিছুটা কম ছিলো।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত   লক্ষাধিক মুসল্লি   কিশোরগঞ্জ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close