ঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর নিথর দেহ, স্বামী পলাতক

প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ৪:১৭ পিএম (ভিজিট : ৪১০)

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফারজানা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পরকীয়ায় আসক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুন) পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ফারজানা আক্তার সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।

ফারজানার বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে পারিবারিক ভাবে তার মেয়ে ফারজানার বিয়ে হয়। জহির স্থানীয় বাজারে স্টিলের আলমারির ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে তার দোকানে আসা একাধিক নারী গ্রাহকের সাথে সে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে তার যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে মারধর করে।

ফারজানার বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, জহিরের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা এর আগেও তারা সমাধান করেছেন। গতকালও তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অপরাপর সদস্যরা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। এমনকি তার বোনের মৃত্যুর খবরও তাদেরকে দেয়া হয়নি। তাদের এক প্রতিবেশী থেকে ফারজানার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি। দ্রুত তারা এসে দেখতে পান ফারজানার মরদেহ খাটের উপর শোয়া।

ফারজানার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল ঝগড়ার সময় তার ছেলে জহির ফারজানাকে মারধর করে। রাত আনুমানিক ২ টার সময় জহির চিৎকার দিলে ঘরে গিয়ে দেখেন ফারজানা ফ্যানের সাথে ঝুলছে। পরে তারা ঝুলানো অবস্থা থেকে নামান। এ সুযোগে জহির পালিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস সুলতান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি জন্য থানায় নিয়ে আসে। দুপুরের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময়ের আলো/আরআই