ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সিলেটে ফের অতিবৃষ্টি, বন্যার আশঙ্কায় সতর্কতা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ১:৪৭ পিএম  (ভিজিট : ৪৬৬)
গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে অতিবৃষ্টিতে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সিলেটে। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতিবৃষ্টির পাশাপাশি সিলেটে অতিবৃষ্টির কারণে বাড়ছে সকল নদনদীর পানি। সম্ভাব্য বন্যার ব্যাপারে আগাম প্রস্তুতি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সিলেটে ৬ ঘণ্টার ভারীবর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকটি প্রধান সড়ক তলিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোর ৬ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি নামে। অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিলো সকাল থেকে। এদিকে উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতিবৃষ্টির কারণে সুরমা, কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি বাড়ছে। তবে বিপদসীমা অতিক্রম করে নি কোনো নদীর পানি।

ভারী বর্ষণে সিলেট নগরীর সুরমা নদীতীরবর্তী অন্তত ১০টি ওয়ার্ডসহ বাগবাড়ি, শামীমাবাদ, উপশহর, তেররতন, তালতলার প্রধান সড়কগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়ার ওয়েবসাইট আইএমডিতে দেখা যায় ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে ৩৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উজানের বৃষ্টির প্রভাবে সুরমা, কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি ২০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সকালের বৃষ্টির পরও আকাশে মেঘ আছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১০৫ মিলিমিটার এবং সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা ৮১ পর্যন্ত মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানিয়েছেন, গতকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জি এবং সিলেট মিলিয়ে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তথ্যমতে ৫৩৫ মিলিমিটার। আরও বেশীও হতে পারে এবং আরও বৃষ্টি হবার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। ২৯ মে পানি আসার পূর্বে ২ দিনে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮০০ মিলিমিটারের বেশি। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

ভারতের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে অতিবৃষ্টিতে গত ২৯ জুন থেকে প্লাবিত হয় জেলার ৭ উপজেলা। ২ জুন থেকে প্লাবিত হয় সিলেট নগরীর ২৮টি ওয়ার্ড। এতে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েন। ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ হাজার লোক আশ্রয় নেয়। বন্যাকবলিত হয়ে ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close