ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না ১৭ হাজার কর্মী
প্রকাশ: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪, ৭:৫৫ পিএম  (ভিজিট : ৩৯৪)
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (গত ৩১ মে) বিএমইটি (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) থেকে ছাড়পত্র পেয়েও কমবেশি ১৬ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। দেশটির সরকার বুধবার (৫ জুন) জানিয়েছে যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা মালয়েশিয়া আসতে পারেননি, তাদের জন্য আর সময় বাড়ানো হবে না। 

অন্যদিকে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা প্রাপ্তির পরও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের যাওয়ার অনুমতি দিতে মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আশা করছেন যে মালয়েশিয়া এই অনুরোধ বিবেচনা করবে।

গত ৩১ মে মাসের মধ্যে যে সকল দেশের কর্মীরা মালয়েশিয়া আসতে পারেননি তাদের বিষয়ে বুধবার (৫ জুন) কুলায়ালামপুরের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।

তিনি বলেন, গত ৩১ মে সময়সীমা নির্ধারণের আগে সমস্ত বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল। সুতরাং আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে সময় বাড়ানো হবে কিনা, উত্তর হবে না।

এদিকে, বুধবার ( ৫ জুন) বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম  মন্ত্রণালয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সঙ্গে বৈঠক করেন। 

বৈঠক শেষে হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়া সরকার দেশটিতে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় বাড়াচ্ছে না, বরং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই থাকছে।

মালয়েশিয়ার সরকার আগের সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া মোট ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নেয়। সবার ক্ষেত্রে একই সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে কিছু করা হয়নি। সব দেশের জন্য একই নীতি বজায় রাখতে চায় মালয়েশিয়া। তবে বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। আমি কুয়ালালামপুরে এই বার্তা পৌঁছে দেব।

বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছিলো, সেই চুক্তির শেষ তারিখ ছিল ৩১মে। সেটা পরিপূর্ণ করতে মালয়েশিয়া সরকার ও আমাদের সরকারের উভয়ের চেষ্টা ছিলো। আমাদের প্রায় ১৭ হাজার মানুষের ভিসা ইস্যু হয়েছে। আমরা মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের মাধ্যমে তাদের সরকারের কাছে আবেদন করেছি যে, অন্ততপক্ষে যাদের ভিসা হয়েছে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করার অনুমতি  দেয়া হউক। আমরা আশা করছি, আমাদের আবেদন তারা রক্ষা করার চেষ্টা করবে।

নতুন করে তারিখ আর বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। আমার বিশ্বাস, মালয়েশিয়া এ আবেদন বিবেচনা করবে।

এদিকে গত ৪ জুন গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু যে সকল কর্মী গমন করতে পারেনি, তাদের অভিযোগ জানাতে বলেছে। যাদের বিএমইটির কার্ড আছে তাদের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকার কথা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছি। কোন কারণে কর্মীরা যেতে পারেনি। কোথায় সমস্যা হয়েছে, কাদের দ্বারা এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্ত জিনিস খুঁজে বের করার জন্যই আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। এই তদন্ত কমিটির মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে, যারা দোষী সাবস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিএমইটির ছাড়পত্র না পাওয়া অনেক কর্মীদের কি হবে-এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং যারা এজেন্টের মাধ্যমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে, এমনকি যারা ভিসা পায়নি, তাদের ব্যাপারেও আমাদের মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে। তাদের কিভাবে ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করা যায়, সে ব্যাপারেও কাজ চলছে। এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

সময়ের আলো/এম 




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close