ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

অতিবৃষ্টিতে ডুবল সিলেট, পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়ান
প্রকাশ: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪, ১২:২১ এএম  (ভিজিট : ৩৬৮)
অঝোর ধারার বৃষ্টিতে উজানের ঢলে সিলেট নগরের বিভিন্ন নিচু এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। তলিয়ে যায় ২৮টি ওয়ার্ড। ফলে নদী তীরবর্তী এসব ওয়ার্ডের ১০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু জেলার ৭ উপজেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে বলে পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হচ্ছে না। পানিবন্দি প্রত্যন্ত এলাকার এসব মানুষের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা না পৌঁছানোর অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, তারা যথেষ্ট ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

রোববার থেকে টানা বৃষ্টিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলা তলিয়ে যাওয়ায় দুই শতাধিক রোগীকে স্থানান্তর করতে হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে প্যাথলজিক্যাল কার্যক্রম। হাসপাতালটির নিচতলার রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে পানি ঢুকতে শুরু করায় কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে এর কার্যক্রম অন্য ওয়ার্ডে সরিয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বানের পানির কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হলেও রোগীর সেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে যে ২৮টি প্লাবিত হয়েছে, সেসব ওয়ার্ডের বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়া বানের পানির সঙ্গে ড্রেনের উপচে পড়া পচা পানি মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে এলাকাবাসীকে নিষ্কৃতি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

অন্যদিকে নগরের প্লাবিত এলাকাগুলোতে কাউন্সিলদের মাধ্যমে বন্যায় আক্রান্তদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় সিলেট সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিসিকের কর্মচারীরা রোস্টার ডিউটি পালন করছেন। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুতের সাবস্টেশন বালুর বস্তা দিয়ে রক্ষার চেষ্টা চলছে।

ভারী বৃষ্টিতে সিলেট নগরী জলমগ্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ ও অসহায়ত্ব  প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, নগরীকে জলাবদ্ধমুক্ত রাখতে সিটি করপোরেশন গত এক দশকে হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে কিন্তু কোনো সুফল মিলছে না। আবার ২০২২ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার পর নগরীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদী খননের দাবি উঠলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

সিলেট জলমগ্ন হাওয়ায় ভয়ানক ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। জলমগ্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যাকবিলত এলাকার মানুষের জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি বিত্তশালীদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সিসিক নগর রক্ষা জন্য এক দশকের বরাদ্দের কার্যক্রম সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাদের এই দাবি আমলে নিতে হবে। সিলেটের মানুষের কষ্ট লাঘবে সংশ্লিষ্টরা কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close