প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ৮:২৩ পিএম আপডেট: ২৮.০৫.২০২৪ ৮:৩৩ পিএম (ভিজিট : ৬৪৫)
কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে মানব দেহের কিছু খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকালে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুন করা হয়েছিল সেই ফ্ল্যাটের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে খণ্ডিত দেহাংশের টুকরো উদ্ধার হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ৪ কেজির মতো ‘টুকরো মাংস’ পাওয়া গেছে। এদিন টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি চালিয়ে ও স্যুয়ারেজ পাইপ ভেঙে এই মাংসগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার হওয়া মাংসগুলো এমপি আজীমের কিনা তা এখন ও নিশ্চিত নয়। মাংসের টুকরোগুলি এমিপি আজিমের কিনা তা দেখতে ফরেনসিক ল্যাবে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকালে ভূষণ শেখ নামে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় ‘টুকরো মাংসগুলো’ উদ্ধার করেন। মাংসগুলো ছোট ছোট টুকরো করা। দীর্ঘদিন ধরে পানির মধ্যে থাকার ফলে সেগুলো সাদা হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই সিআইডিকে আনারের দেহাংশের খোঁজে সঞ্জীভা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ভেঙে সার্চ করার অনুরোধ করেন ঢাকার ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ। পাশাপাশি হাতিশালা লেকও সার্চের অনুরোধ করেন তিনি। তারপরেই ফ্ল্যাটের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে এই মাংসের টুকরো উদ্ধার হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় সঞ্জিভা টাউনের বাগান পরিচর্যার কাজের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী সিদ্ধেশ্বর মুর্মু জানান, রোজকার মতো এদিন আমি কাজ শেষ করে ফিরে আসছিলাম। সেই সময় ওখানে দেখলাম প্রচুর মানুষ ভীড় করে আছে এবং অনেক খানি মাংসের মতো উঠে এসেছে। কিন্ত সেখানে আমাকে বেশিক্ষণ থাকতে দেইনি। ভেতরে পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা আছেন। যে পরিমাণ খাণ্ডাংশ উদ্ধার হয়েছে তার ওজন তিন থেকে চার কেজি হবে।
তিনি আরও বলেন, দেখে মনে হচ্ছে খুন করে মাংস কুচি কুচি করে কেটে কমোডের মধ্যে ফেলে ফ্ল্যাশ করে দেওয়া হয়েছিলো। পরে সেগুলোই পাইপ দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে গিয়ে জমা হয়েছে।
এদিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের অংশ উদ্ধারের বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সময়ের আলোকে বলেন, কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেটি সংসদ সদস্য আনারের কি না তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। ডিএনএ টেস্ট করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল সকালে ডিবির অনুরোধে কলকাতা সিআইডি সেফটি ট্যাংক ভেঙে তলাশে করতে থাকেন। পরে বিকেলে সিআইডি ট্যাংকের তল্লাশি করে আশানুরূপ ফলাফল পায়।
সময়ের আলো/এম