ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ঢালচরে আশ্রয়ের ভরসা গাছের ডাল
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ৮:০৩ এএম  (ভিজিট : ৩৮২)
ভোলার দ্বীপ উপজেলা চরফ্যাশনের ঢালচর। সাগর ঘেঁষে বসতি গড়ে ওঠা এই ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার মানুষের বসবাস। সাগর উত্তাল হলেই জনপদটিতে ধেয়ে আসে জোয়ারের পানি। মুহূর্তে প্লাবিত হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। বিগত দিনের মতো এবারও ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রভাব ছিল প্রায় একই রকম। 

ঝড়ো হাওয়া এবং জলোচ্ছ্বাসে তছনছ হয়ে পড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা এই এলাকাটি। অথচ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই ঢালচর বাসিন্দাদের। কারণ দীর্ঘদিনেও এই এলাকায় গড়ে ওঠেনি কোনো আশ্রয়কেন্দ্র। এমনকি দারিদ্র্যপীড়িত এই এলাকায় নেই কোনো উঁচু ভবনও। ফলে প্রতি ঝড়ে দুর্যোগের থাবা মোকাবিলা করে জীবন চালিয়ে নিতে হয় স্থানীয়দের। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঢালচরে। পুরো ক্ষতির হিসাব না পাওয়া গেলেও সাময়িক ক্ষতচিহ্ন থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। স্থানীয় দাখিল মাদরাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার কথা জানান তারা। জোয়ারে ভেসে গেছে ঘরের আসবাবপত্রসহ গবাদিপশু। নোনা পানি প্রবেশ করায় দীর্ঘদিন ফসল ফলানো নিয়েও ভুগতে হবে তাদের। আক্ষেপ করে স্থানীয়রা বলেন, ঘোর বিপদে আমাদের গাছের উঁচু ডাল ছাড়া আর কোনো ভরসা নেই। কারণ জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের গাছে ওঠা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। 

এদিকে এত বড় দুর্যোগেও স্থানীয়রা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেনি জানিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, ঢালচর ইউনিয়নটি পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। মানুষের কোনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল নেই। নেই উঁচু কোনো ভবন। কোনো সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় ইউনিয়নটির কোনো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেনি। তিনি বলেন, ১২ হাজার মানুষের বসবাস থাকলেও নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। এই চরের একমাত্র ভরসা গাছের উঁচুডাল। গত দিনের ঝড়গুলোতে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

এদিকে, চরফ্যাশনের মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরে দেখা যায়, বহু ট্রলার ডুবে গেছে ঢেউয়ের কারণে। অনেকে আবার ট্রলারে থাকা বিভিন্ন জিনিস রক্ষা করতে পারলেও বেশিরভাগ ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায়। চরফ্যাশনের নতুন সøুইস এলাকার নাগর মাঝি বলেন, আমার ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। সবই পানিতে ভেসে গেছে। অপরদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশের একাধিক পরিবারকে দেখা যায় তাদের ঘর রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ শেষরক্ষা করতে পারেনি।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close