ঝিনাইদহে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশ: সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪, ৮:৪৪ পিএম (ভিজিট : ৪৫৪)

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝিনাইদহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে দিন মজুর, পথচারী ও রিকশা ভ্যান চালকদের জীবন যাত্রায়। রোববার (২৬ মে) বিকেল থেকে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঝড়ের গতি ও প্রভাব বিস্তার শুরু করে পুরো জেলাজুড়ে।

জানা গেছে, গতকাল (রোববার) রাত ১১টার পর থেকে থেমে থেমে দমকা বাতাসের সঙ্গে সোমবার (২৭ মে) সারা দিন চলে ব্যাপক বৃষ্টি। বৃষ্টির প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রিকশা-ভানচালক ও পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে। রাস্তায় মানুষ শূন্য। জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে খুব একটা বের হয়নি। স্কুল-কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির হার বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়। শহরে মাঝে বিদ্যুতের উঁকি ঝুঁকি দিলেও তা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ কিন্তু গ্রামের কোথাও বিদ্যুতে দেখা মেলেনি দিনভর। তবে সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অফিস মুখী মানুষ বাধ্য হয়েই ঘর থেকে বের হয়। দূরপাল্লার সব বাস সঠিক সময়ে চলছে বলে জানায় টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ।

ঝিনাইদহের প্রধান প্রধান মোড় যেমন- পায়রা চত্বর, মুজিব চত্বর, আরাপপুর মোড়, হামদহ মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের পদচারণা নেই বললেই চলে। বড় বড় বিপণী ও শপিং মল এবং দোকান ছাড়া, ছোটখাটো দোকানগুলো খোলেনি। আর যারা খুলেছেন তারা দোকানেই অলস সময় কাটাচ্ছেন।

রিকশাওয়ালা সবেদ আলী জানান, রাস্তায় কোনো যাত্রী নেই। রিকশা নিয়ে বের হওয়াটা ভুল হয়েছে।

ভ্যানচালক কৃষ্ণপদ জানান, বৃষ্টি হচ্ছে, এ কারণে মালামাল সরবরাহের কোনো সুযোগ নেই। একরকম বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে। তবে ঝিনাইদহ কোনো আবহাওয়া অফিস না থাকায় কি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি। যেকোনো অবস্থার জন্য। তবে এখনও কোনো ধরনের খারাপ খবর পাওয়া যায়নি। ৬ উপজেলায় আলাদা আলাদা মিটিং হয়েছে। শুকনো খাবারসহ ইউনিয়নে ইউনিয়নে সরকারি স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, থেমে থেমে বৃষ্টি ও মাঝে মাঝে দমকা বাতাসের মধ্যেই জেলায় রিমাল ঝড় অতিক্রম করছে। মানুষকে নিরাপদে থাকার জন্য বার্তা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে যেন কেউ বের না হয়। উপজেলা পর্যায়ে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলা হচ্ছে।

সময়ের আলো/আরআই