প্রকাশ: শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ১০:১৫ পিএম (ভিজিট : ৩৯২)
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিন্মচাপটি মোংলা বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ‘রেমাল’ ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। সেই ‘রেমাল’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে রোববার সন্ধ্যায় সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মোংলা আবাহওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানায়, এটি বর্তমান যেই অবস্থান দেখাচ্ছে তাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি বাংলাদেশের ওপর দিয়েই অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুন্দরবন এলাকা এবং বরিশালের পটুয়াখালী, বরগুনা, ও ভোলা জেলায় রেমাল এর আঘাত হানার সম্ভবনা বেশি রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় এরই মধ্যে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সব রকম সতর্কমূলক প্রস্ততি নিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে শনিবার (২৫ মে) দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে জরুরি বৈঠক করা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান বলেন, মোংলা বন্দরে এই মুহুর্তে সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার, সার, পাথর ও গ্যাসবাহী ছয়টি জাহাজ অবস্থান করছে। সেগুলোকে নিরাপদে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে। তবে এখনও জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করার পরিস্থিতি হয়নি। সংকেত বাড়লে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বন্দরে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় সব রকম প্রস্ততি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনও। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, ‘১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ১৬’শ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত বাড়ানোর সাথে সাথেই আমাদের কার্যক্রমের গতি বাড়ানো হবে। তবে এখনও কোন কন্ট্রোলরুম খোলা হয়নি’।
সময়ের আলো/জিকে