ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আনন্দ মিছিল শেষে জুনিয়র-সিনিয়রের বাকবিতন্ডা, নেতার মৃত্যু
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪, ১:৫৪ এএম  (ভিজিট : ১২২০)
সদ্য বিজয়ী আনারস প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের পক্ষে আনন্দ মিছিল শেষে এলাকায় চা দোকানের সামনে অবস্থান নেয় সবুজ ও বকুল নামের দুই আওয়ামী লীগ কর্মী। পরে জুনিয়র সিনিয়রের কাছে সিগারেট চাওয়া নিয়ে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন।

ঝগড়া থামাতে গিয়ে জামিল খাঁন নামের রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা তার ব্যাক্তিগত শটগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন। তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাস্থলে হৃদরোগে আক্তান্ত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।

একই ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত নুরনবীকে (৪০) ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় তার পরিবার।

ঘটনাটি দুইদিন গোপন থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ হওয়ায় রায়পুর উপজেলা নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গেল মঙ্গলবার (২১ মে) আনুমানিক রাত ৮টায় ঘটনাটির সূত্রপাত হয় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলাধীন উত্তর চরবংশী ইউনিয়নস্থ ২নং ওয়ার্ডের খাঁন বাড়ির কাশেম খাঁনের চা- দোকানের সামনে।

ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনারসের প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ বিজয়ী হলে আনন্দ মিছিল নিয়ে হায়দরগঞ্জ বাজারে বিটিএমই'র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকনের বাড়িতে যান বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা। মিছিল শেষে উত্তর চরবংশী ইউপি'র তালতলা বাজারের পাশে খাঁন বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় তারা। 

এ সময় আবুল কাশেমের চা দোকানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সবুজ তার সিনিয়র নেতা বকুলের কাছে ১টি সিগারেট চাওয়াতে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে এতে ৮ জন আহত হন। তার মধ্যে সবুজের স্বজন নুরনবীর মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমত রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় একটি হাসপাতাল পাঠানো হয়।

এ সময় দুপক্ষকে বাধা দিতে আওয়ামী লীগ নেতা জামিল খাঁন তার ব্যবহৃত শটগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন। এবং তাৎক্ষণিক তিনি স্ট্রোক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে রায়পুর সেবা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি তার ব্যবহৃত লাইসেন্সপ্রাপ্ত দুটি অস্ত্র থানায় জমা দেননি।

স্থানীয় চা দোকানদার আবুল কাশেমসহ (৬০) কয়েকজন বলেন, আনারসের পক্ষে আনন্দ মিছিল শেষে কর্মীরা চা দোকানের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় সবুজ মাঝি তার সিনিয়র বকুল সর্দারের কাছে সিগারেট চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকুল সবুজকে থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি থেকে মারামারির সৃষ্টি হয়। 

মৃত জামিল খাঁনের স্ত্রী জোসনা আহমেদ বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। দুপক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তার কাছে দুটি অস্ত্র থাকার বিষয়ে পল্টন থানা পুলিশ অবগত আছেন। এ বিষয়ে রায়পুর থানা পুলিশকে জানানো হবে।

এ ঘটনায় রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, আনারসের প্রার্থীর বিজয়ে আনন্দ মিছিল শেষে স্ট্রোক করে আওয়ামী লীগ নেতা জামিল খানের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও আমিসহ সবাই মরহুমের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করে থানায় এসেছি। তবে মারামারি ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়া এসব বিষয়ে কিছুই জানতাম না। এখন যেহেতু বিষয়টি জেনেছি, সেহেতু খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close