ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বাঘায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা
প্রকাশ: বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৮:৩৫ পিএম  (ভিজিট : ৪১২)
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আমোদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার শর্তে অর্থ নিয়েও চাকরি না দেওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মিলন হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী। সে উপজেলার এক নম্বর বাজু বাঘা ইউপির আমোদপুর গ্রামের মৃত: পলান সর্দারের ছেলে। 

চাকুরি না দিয়ে টাকা ফেরত প্রদানে টালবাহানা করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সভাপতি আলী হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মিলন হোসেনের স্ত্রী শিল্পি খাতুনকে  আমোদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া পদে চাকুরি দেয়ার শর্তে গতবছরের ৯ জুলাই চার লক্ষ টাকা নেয় প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলী হোসেন।

পরে গোপনে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর আয়াসহ ৪টি পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সুকৌশলে গোপন রাখায় বাদীর স্ত্রী শিল্পী খাতুন আবেদন করতে পারেনি। নিয়োগ হয়ে গেছে এমন সংবাদে বাদি  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কাছে টাকা ফেরত চাই। অভিযুক্তরা টাকা ফেরত না দিয়ে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকে। অবশেষে চলতি বছরের ১৮ মে টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অস্বীকার করে বলেন, কোন টাকা দিতে পারব না, পারলে আদায় করে নিস। এরপর বাদী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দাখিল করেন। ইউপি চেয়ারম্যান আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ রঞ্জু বিবাদীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি তারা।

মামলার বাদী মিলন হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টি আমার বাপ চাচার দানকৃত জমিতে অবস্থিত। বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ হবে জানিয়ে আমার স্ত্রী শিল্পী খাতুনকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। তবে চাকরি পেতে হলে সাত লক্ষ টাকা অনুদান লাগবে জানান তারা। এই শর্তে গত বছর ৭ জুলাই নিজ বাড়িতে নগদ চায় লক্ষ টাকা প্রদান করি।  পরে আমার স্ত্রীকে চাকরি না দিয়ে বেশি টাকার লোভে অন্য আরেকটা মেয়েকে আয়া পথে চাকরি দিয়েছে। আমার টাকা আমি ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। 

বাদী আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক সভাপতির কথা সরলভাবে বিশ্বাস করে আমি আমার গরু-ছাগলসহ জমি বিক্রি করে বিদ্যালয়ের আয়া পদে চাকরি দেওয়ার শর্তে ৪ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন আমি সর্বস্বান্ত। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুবিচার চাই। 

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির এ্যাডভোকেট একেএম মাসুদ-উল হক ও বাজুবাঘা ইউপি চেয়ারম্যান আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ রঞ্জু জানান, আমোদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্ত্রীকে আয়া পদে নিয়োগের শর্তে বাদী মিলন হোসেন বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে ৪ লাখ টাকা দিয়েছিল। ওই নিয়োগে মিলন হোসেনের স্ত্রীর চাকরি হয় নাই। পরবর্তীতে মিলন হোসেন টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করে বিধায় সে দুই জনের নামে এই মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কলটি রিসিভ না হওয়ার তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close