ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হোসেনপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ১২:১৮ পিএম  (ভিজিট : ৪৯০)
কিশোরগঞ্জে হোসেনপুরে কাঁঠাল গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কাঁঠাল পাকতে শুরু করবে পুরোদমে। যেদিকে চোখ যায় শুধু গাছে গাছে কাঁঠাল আর কাঁঠাল।

এ বছর উপজেলার প্রতিটি কাঁঠাল গাছের গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত কাঁঠালে ভরে গেছে। কাঁঠাল পাকে মূলত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। এখানকার কাঁঠাল মালিকরা আশা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি না হলে এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হবে।

হোসেনপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ও তার আশেপাশে সবখানে এখন কাঁঠাল গাছগুলোতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেয়ে আছে। কোনো কোনো আগাম জাতের কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। পাকা কাঁঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট পতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে গাছে।

এই উপজেলায় কাঁঠালের বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম হোসেনপুরে, হাজিপুর, সূরাটি,পুমদী, রামপুর,বাচকান্দা, গোবিন্দপুর, জগদল, নিমুখালী বাজার।

পুমদী ইউনিয়নের সাদ্দাম বলেন, তার ২০টি কাঁঠাল গাছে সমানতালে কাঁঠাল ধরেছে। তিনি এবার ৫০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়ায় কাঁঠালের ভালো ফলন হয়েছে।

গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গঙ্গাটিয়া এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, আমার নিজের ১৮টি কাঁঠাল গাছ আছে। তার গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। এ বছর তার কাঁঠাল বিক্রির আশা ৪০ হাজার টাকা।

এদিকে এখানকার অধিকাংশ কাঁঠাল গাছগুলো বাগানভিত্তিক না হলেও বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার দুই ধারে। এসব গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠালের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে। অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় কাঁঠাল নিয়ে তার সিকি ভাগও হয় না।

দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম। এসময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেণির লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ফলন বেশি হলে দাম না পাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। কারণ, বেশি ফলনে দাম পড়ে যাওয়ার রেওয়াজ আদিকালের।

সরেজমিনে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে কাঁঠালে ভরে গেছে। প্রতিটি গাছে ৬০ থেকে ১০০টির বেশির পর্যন্ত ফল ধরেছে।

তবে এ এলাকায় কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবিলম্বে অত্র এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close