রাবিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ১১:২০ পিএম (ভিজিট : ৭৪৬)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়ছে। এ দিন উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় উপ -উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক। প্রধান আলোচক ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ।

এর আগে সকাল পৌনে দশটায় টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে এক শোভাযাত্রা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে যায়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভার আলোচক অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ বলেন, জাতীয়তাবাদ সার্বজনীন, বস্তুনিষ্ঠ এবং যুক্তি নির্ভর। বাঙালি জাতীয়তাবাদী দর্শন অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণমুখী, প্রগতিবাদী ও মানবতাবাদী। আর শেখ হাসিনা ব্যতিত বর্তমান বাংলাদেশে এই জাতীয়তাবাদ চেতনাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। কারণ তিনি আমাদের অনুভবে, চিন্তায়, চেতনায় ও আদর্শে আছেন। বাঙালি জাতি অর্থাৎ দেশপ্রেমী জনগণকে একত্রিত করা ও দেশকে রক্ষা করার জন্য এবং মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে তার প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল। প্রত্যাবর্তনের শুরু থেকেই তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শক্তিশালী অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করে চলেছেন। তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করে চলেছেন। এবং বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের মানুষের মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের মানুষের ভাত এবং ভোটের অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে চলেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল- ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আমরা বাংলাদেশের মানুষ ও বাঙালির পুন:শৃঙ্খলামুক্ত ও পুন:স্বাধীন হবার উষালগ্নের সাথে তুলনা করতে পারি। সেদিন তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির আশা-ভরসা-আস্থার সোনালী সূর্যে পরিণত হয়েছিলেন যা আজও অব্যাহত রয়েছে। দেশে গণতন্ত্র কায়েম হয়েছে, গণমানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার দুরদর্শী ও বলিষ্ট নেতৃত্বে জাতির পিতার আজন্ম স্বপ্নক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত স্বাবলম্বী সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে, দু:খী বাঙালির মুখে হাসি ফুটেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমস্ত্রী হচ্ছেন বাঙালির তথা মানবতার জননী, বাঙালির বিপুল প্রত্যাশার বাতিঘর, মেহনতি মানুষের আস্থার প্রতিক এবং উদার, গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতিকে বিশ্ব দরবারে যে মর্যাদায় আসীন করেছিলেন শেখ হাসিনা তা আরো অধিক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত, তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ ও চিরঋণী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডেসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

সময়ের আলো/জেডআই