প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ১১:০৯ পিএম (ভিজিট : ৩৪২)
কুমিল্লার দেবীদ্বারে আকামা নিয়ে বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারা বেগমকে বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে আল আমিন (২০) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। এ মামলায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আল আমিন উপজেলার ভিংলা বাড়ি গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। আদালতে রায় প্রদানের সময় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আল আমিন পলাতক ছিল।
মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি মো. নজরুল ইসলাম ও সুলতান আহমেদ মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে মামলার দায় হইতে অব্যাহতি প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট রেবেকা সুলতানা সময়ের আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবে আকামা না পেয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১০ সালের ৩ মার্চ দিবাগত রাতে একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে নিহতের মেয়ে মোছা. উম্মে সালমা খাতুন (২২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আল আমিনকে গ্রেফতার করলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।
পরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে একই উপজেলার ভিংলা বাড়ির সুলতান আহমেদের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৪), ডা. আ. সামাদের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), মৃত সুজাত আলীর ছেলে সুলতান আহমেদ (৬০) ও সাজু মিয়ার ছেলে আল আমিনের (২০) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আল আমিনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, আসামি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। আদালতে রায় প্রদানের সময় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আল আমিন পলাতক ছিল।
সময়ের আলো/আরআই