প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ৯:৩৪ পিএম (ভিজিট : ৫০৬)
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় মামলা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন আপন ছোট মো. সোহাগ আলম (৫০)। বুধবার (১৫ মে) রাতে পাহাড়তলী ইউনিয়নের খান পাড়া গ্রামের মমতাজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগ মৃত মমতাজ মিয়া ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা নিয়ে বিরোধ ছিল। এই নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে প্রায় সময় মারামারি হাতাহাতি হতো। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম শহরে আদালত ভবনে ওই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিকেলে আদালত থেকে বাড়িতে আসার পর বিরোধ চরমে পৌঁছে। গতকাল (বুধবার) রাতে ক্ষুব্ধ বড় ভাই সোনা মিয়া দেশীয় অস্ত্র দা ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে বড় ভাই সোনা মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে ছোট ভাই সোহাগকে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১০ টার দিকে মারা যান ছোট ভাই সোহাগ। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক বড় ভাই পালাতক রয়েছে। মারামারির ঘটনায় দুই ভাইয়ের ঘরবাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জানে আলম বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে মামলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে বড় ভাই ছোট ভাইকে হত্যা করেছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় দুই পরিবারের প্রায় ৭/৮ জন আহত হয়েছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাহাড়তলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন বলেন, মামলার একটি বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বড় ভাই ধারালো ছুরি দিয়ে ছোট ভাইকে খুন করেন। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, বড় ভাইয়ের কাছে যেখানে ছোট ভাই নিরাপদ থাকবে। সেখানে আপন বড় ভাই সামান্য বিষয় নিয়ে তার ছোট ভাইকে ছুরি আঘাতে খুন করেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে।
নিহত সোহাগের ২ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সোনা মিয়ার স্ত্রী, মেয়ে ও পুত্র বধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন, চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এসআই জাবেদ মিয়া।
রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেব শীল বলেন, ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালায়। পুলিশ সোনা মিয়ার স্ত্রী, তাদের সন্তান তারেক, তারেকের স্ত্রী ও সোনা মিয়ার এক মেয়েকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।