প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ১:১০ পিএম আপডেট: ১৬.০৫.২০২৪ ১:২৩ পিএম (ভিজিট : ৪৭৭)
কুড়িগ্রামে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দু'টি উপজেলার ৪ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু।
বহিষ্কৃতরা হলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম শাহিন শিকদার, নাগেশ্বরী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান,নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আমেনা খাতুন অনন্যা, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি বেগম।
বুধবার (১৫ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা- আলাদা চিঠিতে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়,দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এর আগে গত ১৩ মে তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিলো।
চিঠির অনুলিপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমসহ কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান এর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত চারজনের মধ্যে ফরিদুল ইসলাম শাহিন শিকদার চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ পর্যায়ের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। মেহেদি হাসান নাগেশ্বরী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে টিউবয়েল প্রতীক, আমেনা খাতুন অনন্যা নাগেশ্বরী উপজেলায় ভাইস চেয়াম্যান (মহিলা) পদে কলস প্রতীক ও ফেরদৌসি বেগম নাগেশ্বরী উপজেলার ভাইস চেয়াম্যান (মহিলা) পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহিন শিকদার জানান, বহিষ্কারের কোন চিঠি হাতে পাইনি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানান তিনি।
নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি বেগম জানান, বহিষ্কার সক্রান্ত চিঠি হাতে পাইনি। করাণ দর্শানো চিঠি পেয়েছিলাম সেটার জবাব দিয়েছি। দল তার সীদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে জনগণ চেয়েছে বলে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াই করে যাবো।