প্রকাশ: রবিবার, ৫ মে, ২০২৪, ২:১৬ এএম (ভিজিট : ৩৮০)
রমজান মাসেও পাইকারি বাজারে লড়ি ও হাজারি জাতের বেগুনের দাম ছিল ২ টাকা কেজি। কিন্তু ভরা মৌসুমে সেই বেগুনের দাম দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায়। চলমান তাপপ্রবাহে বেগুনের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কৃষকের মুখে নেই স্বস্তির হাসি। এ চিত্র জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে। ভরা মৌসুমে আবহাওয়ার এই পরিহাস কৃষকের কপালে এনে দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ।
গ্রীষ্মকালে প্রচুর বেগুন উৎপাদন হওয়ায় এ মৌসুমে দাম থাকে ক্রেতার হাতের নাগালে। বেগুন উৎপাদনের জন্য ২০-৩০ ডিগ্রিকে সর্বোত্তম তাপমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু সারা দেশে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে। বেগুন গাছে নতুন করে আসছে না ফুল, বেড়েছে পোকার আক্রমণ। এ সবকিছুই ব্যাহত করেছে বেগুনের উৎপাদন। ফলে বাজারে চাহিদা সত্ত্বেও জোগান কম হওয়ায় বেগুনের দাম গেছে বেড়ে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এ বছর উৎপাদন খুব বেশি হয়নি। বাজারে চাহিদা প্রচুর। চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি। অথচ রমজান মাসে প্রতি কেজি বেগুন ২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে। বহিরাগত ব্যবসায়ীরা বাজারে এসে চাষিদের কাছে কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় সবজির বাজারে পাঠাচ্ছেন। দাম বেশি হলেও উৎপাদন কম থাকায় বিঘাপ্রতি মাত্র ৪-৫ মণ করে বেগুন পাওয়া যাচ্ছে। এতে চাষিরা তেমন লাভবান হচ্ছে না।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মাঠে ধানসহ অন্যান্য ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা সব কৃষককে বিশেষ করে ধান ও সবজিচাষিদের সেচ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। ধান ক্ষেতে কমপক্ষে ৩-৪ ইঞ্চি পানি ধরে রাখাসহ সবজির ক্ষেতে নিয়মিত সেচ দেওয়া হলে উৎপাদন কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।
সময়ের আলো/আরএস/