ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

৬ বিয়ে করা ব্যক্তিই উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, সমালোচনার ঝড়
প্রকাশ: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ৯:৪৬ পিএম  (ভিজিট : ৪৫৬)
দৌলতপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কে এম ইকবাল হোসেন (হাবিব)। ছবি: সংগৃহীত

দৌলতপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কে এম ইকবাল হোসেন (হাবিব)। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক মহলে নানা গুঞ্জন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে দৌলতপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নতুন এমপিওভুক্ত প্রভাষক কে এম ইকবাল হোসেন (হাবিব) শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় খোদ দৌলতপুর কলেজের সিনিয়র শিক্ষকসহ দৌলতপুরের সর্বস্তরের শিক্ষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। 

দৌলতপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কে এম ইকবাল হোসেন (হাবিব) অনার্স শিক্ষক হিসেবে দৌলতপুর কলেজে যোগ দেন। তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা না মেনে অবৈধভাবে তাকে ডিগ্রি পর্যায়ে নিয়োগ দেখিয়ে ২০২৩ সালে এমপিওভুক্ত করা হয়। শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও কে এম ইকবাল হোসেন (হাবিব) ৬টি বিয়ে করে দৌলতপুরে বহু বিবাহের নজির সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। শুধু তাই নয় একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েও তিনি সামাজিকভাবে ঘৃণিত ও নিন্দিত হয়েছেন বার বার।

এত কিছুর পরও কে এম ইকবাল হোসেন (হাবিব) শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় শিক্ষক সমাজের জন্য চরম অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সচেতনমহল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৌলতপুর কলেজের একাধিক সিনিয়র ও গুণী শিক্ষক দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দৌলতপুর কলেজে কি আর কোন শিক্ষক ছিলনা যে একজন চরিত্রহীন শিক্ষককে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করতে হবে। এটা গোটা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জা ও অপমানের।

একই অভিব্যক্তি দৌলতপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের। শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচনের বিষয়ে দৌলতপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচনের উপ-কমিটির মাধ্যমে কে এম ইকবাল হোসেন শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি ছাড়া আর কোন আবেদনকারী না থাকায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

মানুষ গড়ার কারিগর ও জাতির বিবেক হলেন শিক্ষক সমাজ। আর এ সমাজের চরিত্রহীন ও বহুবিবাহের অধিকারী কোন ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ হলে শিক্ষা দপ্তরের প্রতি আস্থা হারাবে শিক্ষক সমাজ। তাই সঠিক যাচাই-বাছাই ও বিচার-বিশ্লেষণ করে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়ার দাবি শিক্ষকদের।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ   শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচন   দৌলতপুর-কুষ্টিয়া  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close