প্রকাশ: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ৪:৪৩ পিএম (ভিজিট : ১১৫৪)
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর পাঙ্গা ইউনিয়নে পাঙ্গা বাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি শুক্রবার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার রাতে পাঙ্গা বাজারে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেকের নির্বাচনী পথ সভা চলছিল। এসময় ওই বাজারে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি তার সমর্থকদের নিয়ে একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন। একই সঙ্গে একই স্থানে দুই প্রার্থীর প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা টেলিফোন মার্কার প্রার্থীকে মিছিল শেষ করার অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন ডোমার থানা পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে লাইভে আসেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, আমরা পাঙ্গায় এসেছিলাম, এখানকার প্রার্থী আগে থেকে পরিকল্পনা নিয়ে ছিল তারা আমাদের উপর হামলা করবে। আমাদের দুইটা ছেলেকে খুবই আঘাত করেছে, কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার উপরেও হামলা করার চেষ্টা করেছেন। গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা যে পরিকল্পনা নিয়েছিল আমাকে পুরোপুরি মেরে ফেলার। আমি শুনেছি কারো না কারো ইন্ধনে তারা এটা করেছে। অনেকে বলছে, এমপি সাহেবের ইন্ধনে তারা এটা করেছে।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী পথ সভায় আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। এসময় খবর আসে আমার নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাজারের সিসি ক্যামেরাগুলো ফুটেজ চেক করলে সবকিছু পরিষ্কার হবে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী বলেন, এ বিষয়ে দুপক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময়ের আলো/আরআই