ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ৪৩ ছুঁইছুঁই
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৫:০২ পিএম আপডেট: ২৬.০৪.২০২৪ ৫:১১ পিএম  (ভিজিট : ৫৮৯)
সূর্যের প্রখরতা থেকে রক্ষা পেতে মাথায় ছাতা, হাতে ইলেকট্রিক চার্জার ফ্যান নিয়ে হাঁটছে এক তরুণী। ছবি: সময়ের আলো

সূর্যের প্রখরতা থেকে রক্ষা পেতে মাথায় ছাতা, হাতে ইলেকট্রিক চার্জার ফ্যান নিয়ে হাঁটছে এক তরুণী। ছবি: সময়ের আলো

চলতি বছরে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। অতি তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায়। সূর্যের প্রখরতার কারণে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বাতাসের আদ্রতা অনেক কম। চুয়াডাঙ্গায় আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। 

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২০১৪ সালের ২১ মে। সে সময় পারদ উঠেছিলো ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল তাপমাত্রা উঠেছিলো ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে।  

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, টানা বেশ কিছু দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় ৪০-৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। তাপদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ হাঁসফাঁস অবস্থায় রয়েছে। এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় দুপুর ৩টায় ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের প্রখরতার কারণে মানুষের গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ২৬-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাবধানতা অবলম্বন করে চলাচল করার জন্য বলা হচ্ছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। 

বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কমতে কমতে ফাঁকা হয়ে পড়ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা ভেমরুল্লাহ পাড়ার রিকশাচালক হালিম মন্ডল বলেন, গরমে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের পাশে রিকশার উপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বলতে পারবো না। গরীবের আবার গরম আছে। পেটের দায়ে ঘরের বাইরে। শীতকালে মানুষ কত কিছু দেয়। গরমের সময় কারও খোঁজ পাওয়া যায়না। সড়ক ফাঁকা মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ভাড়া কিভাবে হবে।

চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের শরবত বিক্রেতা আলিম বলেন, মানুষ না থাকলে শরবত কার কাছে বিক্রি করবো। গরমে ঠাণ্ডা শরবত খায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষরা। শরবত নিয়ে বসেই আছি বিক্রি নেই।

চুয়াডাঙ্গা গুলশান পাড়ার বাসিন্দা ফরিদ বলেন, গরমে বাড়ির বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এত গরম গত বছরও পড়েনি। এ বছর চরম দুর্ভোগে পড়েছি।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  তাপদাহ   বিপর্যস্ত জনজীবন   মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   চুয়াডাঙ্গা  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close