প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৫২ পিএম আপডেট: ১১.০৪.২০২৪ ২:৪৯ পিএম (ভিজিট : ৬৬২)
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭ তম ঈদুল ফিতরের জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ। জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শোলাকিয়ায় এবার ছিল ১৯৭ তম ঈদুল ফিতরের বড় জামাত। জামাত শুরু হয় সকাল দশটায়। এর আগেই দলে দলে লোকজন আসতে থাকে ঈদগাহের দিকে। সকাল ৯ টা নাগাদ বিস্তীর্ণ ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় ভরে উঠে। তখনো শোলাকিয়ার পথে অনেকেই।
ঈদের নামাজে ইমামতি করেন লাকিয়া মাঠের সহকারী ইমাম মাওলানা সুয়াইব বিন আব্দুর রউফ। নামাজ শেষে দোয়া ও পরিচালনা করেন তিনি। মোনাজাতে মুসল্লিরা দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের মানুষের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
বড় জামাতে বেশি মুসল্লির সঙ্গে নামাজ আদায় করলে দোয়া কবুল হয়-এমন আকর্ষণে সকাল থেকেই এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন ছয় লক্ষাধিক মুসল্লি। অনেকেই বংশপরম্পরায় এ মাঠে নামাজ আদায় করে আদায় করে আসছেন।
ঈদ জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবার শোলাকিয়া মাটির মাঠের ভিতরে ও বাইরে একসাথে ছয় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জামান বলেন, ঈদ জামাতকে শান্তিপূর্ণ করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে যার ফলে মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ পড়ে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছে।
১৮২৮ সালে শোলাকিয়া মাঠে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে মাঠের নাম হয় 'সোয়া লাখিয়া'। পরে এর নামকরণ করা হয় শোলাকিয়া মাঠ।
সময়ের আলো/এএ/