সৌদির সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীতে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪, ১:২১ পিএম (ভিজিট : ৩১৪)

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর চারটি গ্রামের মানুষ আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে দুই উপজেলার ৮ টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাতে অংশ নেয় এই চার গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দারা।

জানা যায়, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (র:) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষীনারায়ণপুর, পশ্চিম সাহাপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখে। এছাড়াও ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে থাকে একদিন আগে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রায় ১০০ বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন।

মসজিদগুলো হলো, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের ঈদের জামায়াতের ইমামতি করেন রহিমিয়া রশিদিয়া আল কাদেরিয়া দরবার শরীফ চট্টগ্রামের খাদেম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই রোজা রাখা এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। এ কারণে আমরা তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।

কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করি। প্রায় ১০০ বছরের বেশি হবে। বিগত বছরের তুলনায় এবারের জামাতে মুসল্লি উপস্থিতি বেশি হয়েছে।

সময়ের আলো/এএ/