প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:৪১ পিএম (ভিজিট : ৬৫৬)
কক্সবাজার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে ঢেউর কবলে পড়ে সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন স্পিড বোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রী উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায়।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনায় ৩ শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায়। খবর পেয়ে যাত্রীবাহী আর একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগরে ভাসতে থাকা লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় আমার পরিষদের এক গ্রাম পুলিশও ছিল। তবে উদ্ধার হওয়াদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিক ভাবে জানতে পারেনি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুরুল হক বলেন, দুপুর ১২ টার দিকে ৩ শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পৌঁছালে বড় ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা পানিতে ভাসতে থাকে। অদক্ষ ড্রাইভার এর কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। আমিও সাগরে দুইটি বাচ্চা নিয়ে ১ ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। পরে স্থানীয় জেলেরা ও অন্য একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট আমাদেরকে উদ্ধার করে।
সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, যে স্পিডবোডটি দুর্ঘটনা হয়েছে এটা আমাদের সমিতির নয় এবং উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি বিহীন। সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাত্রী পরিবহন করে আসছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী সময়ের আলোকে বলেন, ওইটা (স্পিডবোট) আমাদের পারমিশন ছিল না। আমি যতটুকু জানি সেন্টমার্টিনে মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্তও না। পারমিশন ছাড়া যারা নিজের মতো চালাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময়ের আলো/আরআই