ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বৃষ্টির ছোঁয়ায় নতুন কুঁড়ি, সজীবতা ফিরেছে চা-বাগানে
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৫:১২ পিএম  (ভিজিট : ১০০২)
প্রায় এক মাস ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ায় সজীবতা ফিরে পেয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮ চা-বাগান। বর্তমানে নতুন করে পাতা গজাতে শুরু করেছে। এর আগে নানা কারণে রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল এসব বাগানের চা-গাছ। কিন্তু একমাস ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে এই সমস্যা এখন আর নেই। সবুজের সমারোহে ভরে গেছে পুরো বাগান এলাকা।

বৃষ্টি হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। বাগানের গাছে গাছে এসেছে নতুন কচি পাতা। বাংলাদেশ চা সংসদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চোধুরী টি স্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বাগানগুলোতে পাতা তোলা বন্ধ থাকে। মার্চ মাসের শেষের দিকে সাধারণত বাগানগুলোতে পাতা তোলা শুরু হয়। এতদিন বৃষ্টির অভাবে এসব কাজ শুরু করা যায়নি। তবে এখন চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২১টি চা-বাগানের কারখানা চালু করা হয়েছে।

চা সংসদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৮টি চা-বাগানের মধ্যে ১২টিতে চা-প্রক্রিয়াজাতকরণের কারখানা রয়েছে। দেশের মোট উৎপাদিত চায়ের ১০ শতাংশ উৎপাদন হয় এ উপজেলা থেকে। প্রায় সব বাগানে কারখানা সার্বক্ষণিক চালু রাখার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পাশাপাশি নিজস্ব জেনারেটরও রয়েছে।

সরেজমিনে চা-বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছের পর গাছে সবুজের সমারোহে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাতায় ভরে গেছে গাছগুলো। নতুন করে চায়ের কুঁড়ি গজানোয় খুশি চা-বাগানের শ্রমিকেরা। বেশ কয়েকটি বাগানের চা-গাছ থেকে সমানে তোলা হচ্ছে পাতা।

উপজেলার রাঙ্গাপানি চা-বাগানের ব্যবস্থাপক উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘বছরের শুরুতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চা-পাতা উৎপাদন অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল। তবে গত এক মাস ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বছর চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

নেপচুন চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক রিয়াজ হায়দার বলেন, ‘খরা এবং ঘন কুয়াশায় প্রথম দিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু এখন মনে স্বস্তি ফিরেছে। মাটির আর্দ্রতা বাড়ায় সারও দেওয়া যাচ্ছে। ফলে বাড়তে শুরু করেছে চা-গাছ। এতে ফলন যেমন বাড়বে, তেমনি অর্জিতও হবে চা-উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।’

কৈয়াছড়া চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চলতি বছরের ৩ মার্চ প্রথম আধা ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। এরপর ১৮ মার্চ বৃষ্টিপাতে বাগানের উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। একই ভাবে গত ২৭ ও ২৮ মার্চ এবং ১ এপ্রিল যে বৃষ্টি ঝরেছিল তা চা-বাগানের অনুকূলে থাকায় এবার উৎপাদনও বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।’

জানতে চাইলে উদালিয়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মো. নাদিম খাঁন বলেন, ‘আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এই বাগানে চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হবে।’

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  বৃষ্টির ছোঁয়ায় নতুন কুঁড়ি   চা-বাগানে সজীবতা   ফটিকছড়ির চা-বাগান  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close