ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

সড়কপথে যানজট ঈদযাত্রায় বাড়াবে সংকট
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৪৩ এএম  (ভিজিট : ৩৫৬)
যানজট নিয়ে রাজধানীবাসীর এমনিতেই ভোগান্তির শেষ নেই। সামনে আসছে ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি। ছুটিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড় বাড়বে সড়কপথে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ তাদের নিজের এলাকায় গমনাগমনের জন্য নৌপথ ছেড়ে সড়কপথকে বেছে নেন। ফলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সঙ্গে বাড়ছে যানজট এবং সড়ক দুর্ঘটনা। গত কয়েক বছরের দুটো ঈদের ছুটির অভিজ্ঞতার আলোকে ধারণা করা হচ্ছে, এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি বেশ লম্বা হওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ ও যানজট অন্যবারের চেয়ে বেশি হতে পারে। সড়ক-মহাসড়কে লেগে থাকা যানজটের অন্যতম কারণ স্বল্প পরিসরের রাস্তায় অধিকসংখ্যক যানবাহন। এর মধ্যে বৈধ এবং অবৈধ দুই ধরনের যানবাহন রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী বৈধ পরিবহনের সংখ্য ২০ লাখ ৯৩ হাজার। এর মধ্যে নিবন্ধিত বাসের সংখ্যা ৪১ হাজার ৫৮৫টি, মিনিবাসের সংখ্যা ১০ হাজার ১৫৮টি, অটোরিকশা ২০ হাজার ৮৭৯টি, মাইক্রোবাস ৯৬ হাজার ২৬৬টি এবং প্রাইভেটকার রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৩৬৪টি। এরপরেও দৈনিক প্রায় ৮ লাখ মানুষের কোনো পরিবহন ব্যবস্থা থাকে না। 

সমীক্ষা বলছে, ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৪০ হাজার বাস ঢাকা ছেড়ে যাবে। তাতে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন। সে হিসেবে প্রতিদিন ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩০ লাখ। কিন্তু দেশে বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থার সক্ষমতা রয়েছে ২২-২৫ লাখের মতো। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ২.৫ মিলিয়ন মোটরসাইকেল এবং ৪ মিলিয়ন ইজিবাইক চলাচল করে। ঈদের ছুটির সময় গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে বাসের ছাদে, খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে প্রায় ১৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। 

একসঙ্গে এত যানবাহনের চাপ সামলানোর মতো সড়ক ব্যবস্থা বাংলাদেশে এখনও গড়ে ওঠেনি। ঈদের ছুটিতে রাজধানীর অভ্যন্তরের লেগে থাকা যানজটে শহর এলাকা ছেড়ে মহাসড়কে পৌঁছুতে যানবাহনের ব্যয় হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিশাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বাংলাদেশে ৩৬ শতাংশের অধিক শহরাঞ্চলের মানুষ বৃহত্তর ঢাকায় বসবাস করে। বিআরটিএর দেওয়া এক সূত্র মতে, বাস ও জনসংখ্যার হিসেবে প্রতি ৩ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র দুটি বাস। সাধারণত একটি বাস প্রতিদিন ৪৫০ জন যাত্রী বহন করে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, ঢাকায় ৫৩ শতাংশ যাত্রী গণপরিবহন ব্যবহার করে এবং মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করে ব্যক্তিগত গাড়ি। অথচ ঢাকার ৭০ শতাংশ রাস্তা ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার দখলে থাকে। এ কারণে সড়কজুড়ে লেগে থাকে ভয়াবহ যানজট। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী মোটরসাইকেলের সংখ্যা মোটামুটি ১৩ লাখের মতো হবে। ধীর গতিসম্পন্ন রিকশার বহরই দ্রুতগামী গাড়ি, বাসের অবাধ চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়ে যানজটের সৃষ্টি করে।

আধুনিক কোনো শহরে রিকশা চলাচলের যেমন কোনো সুযোগ নেই তেমনি মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য সড়কের পাশে আলাদা সাইকেলট্রাক রাখা হয়। সিপিডির মতে, রাজধানীতে প্রতি ২ ঘণ্টার যাত্রাপথে ৪৬ মিনিট নষ্ট হয় যানজটে। এভাবে বছরে গড়ে ২৭৬ ঘণ্টা নষ্ট হয়। ফলে নষ্ট হয় শ্রমঘণ্টা। যার ফলশ্রুতিতে বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। ঢাকার যানজট ৬০ শতাংশ কমানো গেলে বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব।
২০১৭ সালে বিশ^ব্যাংক জানায়, প্রতি ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলে রাজধানী ঢাকার রাস্তায়। পরিবহনের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার পায়ে হাঁটা মানুষের গড় গতিবেগের সমান। ২০২৭ সালের মধ্যে এ গতিবেগ কমে ঘণ্টায় ১ কিলোমিটারে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গবেষণা বলছে, রাস্তা যত বাড়বে এবং প্রশস্ত হবে, গাড়ির সংখ্যাও তত বাড়বে। সড়ক যত প্রশস্ত হোক, যানবাহনের বিশাল বহর চলতে গিয়ে দেখা দেবে যানজট। পরিসংখ্যান বলছে, গড়ে প্রতিদিন ৭২টি প্রাইভেট গাড়ি রাজধানীর সড়কে নামছে। ২০১৯ সালে কার্যকর সড়ক পরিবহন আইনের ২৩ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোনো ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান বা কোনো এলাকার জন্য মোটরযান সংখ্যা বা সীমা নির্ধারণ করতে পারবে। তা হলে প্রাইভেটকার রেজিস্ট্রেশন সীমিত রাখা যাচ্ছে না কেন? যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ফেলোদের গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকার ৭৬ ভাগ প্রাইভেটকারের দখলে। কিন্তু প্রাইভেটকারের যাত্রী মাত্র মোট যাত্রী সংখ্যার ৬ শতাংশ। ব্যক্তিগত গাড়ি এবং গাড়ির যাত্রী উভয়ই বাড়ছে। ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ২২ শতাংশ যাত্রী প্রাইভেটকার ব্যবহার করতেন। ২০২৫ সাল নাগাদ তা দাঁড়াবে ১১ দশমিক ১২ শতাংশে। গণপরিবহনের গতি না বাড়িয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে প্রাইভেটকার যাত্রীরা ফ্লাইওভার ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে নিচ্ছেন। যানজটের কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

রাজধানীর যানজট একদিনে শুরু হয়নি। অফিস-আদালত শুরু এবং ছুটির সময়ে সড়কজুড়ে লেগে থাকে যানজট। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দীর্ঘকালের সড়ক ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, অপর্যাপ্ত সড়ক ব্যবস্থা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাসের অপ্রতুলতা, অবৈধ ফুটপাথ দখলের কারণে ঢাকা আজ যানজটের শহর। বছর ধরে রাস্তা মেরামত ও উন্নয়নমূলক কাজে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে কমে যাচ্ছে রাস্তার পরিসর। কাজের ধীরগতি, অর্ধসম্পন্ন কাজ ফেলে রাখা, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব বাড়িয়ে তুলতে সড়কের যানজট। রাস্তার পাশে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা দেশের যানজটকে করে তুলছে অসহনীয়। অনেক টাকাকড়ি খরচ করে রাজধানীতে একাধিক ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলো। রাস্তা পারাপারের জন্য নির্মিত হলো অনেক ফুট ওভারব্রিজ। কিন্তু ফ্লাইওভারের নিচে, ফুট ওভারব্রিজের ওপরটা দখল করে রেখেছে অবৈধ দোকানপাট। ত্রুটিপূর্ণ এবং অপর্যাপ্ত ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যালও রাজধানীর যানজটের আরেকটি কারণ। তা ছাড়া যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে না চলার প্রবণতা তো রয়েছেই। ফুট ওভারব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং রেখে যত্রতত্র রাস্তা পার হচ্ছে মানুষ। রাস্তাজুড়ে রয়েছে বাস-ট্রাক স্ট্যান্ড। অথচ ফুটপাথ দখলমুক্ত ও হাঁটার উপযোগী রাখতে প্রবিধানমালা আজও করা হলো না। তিন বছরে চূড়ান্ত হয়নি পার্কিং নীতিমালার খসড়া এবং চূড়ান্ত করা যায়নি পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা।

ইতিপূর্বে রাজধানীর যানজট সমস্যা সমাধানে রাস্তা ও ফুটপাথ দখল-উচ্ছেদ অভিযানের উদ্যোগ তেমন সফল হয়নি। যানজট ঠেকাতে দুই সহস্রাধিক ট্রাফিক কর্মকর্তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আনসার ও কমিউনিটি পুলিশ নিরলস প্রচেষ্টায় যানজট নিরসনে তেমন সুফল বয়ে আনেনি। মহানগরীর ১৩টি পয়েন্টে চালু করা হয় ফোর লেন পদ্ধতি। পরবর্তীতে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও ব্যাংকের সময়সূচির পরিবর্তন করেও যানজট সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা হয়েছে। রাজধানীকে ৭টি অঞ্চলে ভাগ করে মার্কেট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ করেও তেমন সুফল পাওয়া যায়নি। রাজধানীর কাকলী থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ১১টি স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল চালু করা হয়েছিল। রাজধানীর বাদবাকি অংশে ট্রাফিক পুলিশের লাঠি, বাঁশির সাহায্যে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলেছে। কাজেই একই শহরে দুই রকমের ব্যবস্থা চালুতে সমন্বয়হীনতার কারণে রাজধানীর যানজট নিরসনে তেমন সুফল বয়ে আনেনি।

সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পূর্ব দিকের এলাকাকে সব নাগরিক সুবিধা প্রদান করে একটি প্রাণচঞ্চল এলাকার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হলে তা মূল ঢাকা মহানগরীর অন্য অংশের ভিড় কমিয়ে ও যানজট সমস্যা নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। রাজধানীতে চলাচলকারী ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে পর্যাপ্ত গণপরিবহন সুশৃঙ্খলভাবে চালানো সম্ভব হলে যানজট কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য বাস থাকলে তা যানজট নিরসনে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারত। ডিটিসিএর সূত্র মতে, ঢাকার ৮০ শতাংশ ট্রিপ হয় ৫ কিলোমিটারের মধ্যে। এর অর্ধেক ট্রিপ আবার ২ কিলোমিটারের মধ্যে। স্বল্প দূরত্বের ট্রিপে সাইকেলে অথবা হেঁটে চললে প্রাইভেটকারের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব।

দেশে প্রাইভেট বাস সার্ভিসের সেবামান ভালো নয়। একেকটি কোম্পানিকে একেকটি রুটে বাস চলাচলের দায়িত্ব দিলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ত, সেবামানও উন্নত হতে পারত। আর যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাইভেট কোম্পানিগুলো এবং আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো সরকারের অধীনে আনা যেতে পারে। ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনের নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি মাত্র পরিবহন সংস্থা গঠন করা গেলে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসতে পারত। অথচ গণপরিবহনের উন্নতিকল্পে বাস রুট রেশনালাইজেশন পরীক্ষামূলক পর্যায়েই রয়ে গেছে। এ ছাড়া যানজট কমাতে হলে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যাপ্ত সংখ্যক আন্ডারপাস, ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করে তা জনগণকে ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করলে যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। যানজট রোধে বাইসাইকেলের জন্য সাইকেলট্রাক তৈরি করা যানজট রোধে ফল দেবে। রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোর সর্বত্র স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করতে পারলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যায়ক্রমে ১০০টি এলিভেটেড টাওয়ার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হলে যে অর্থ ব্যয় হবে তা যানজটের ফলে নষ্ট হওয়া শ্রমঘণ্টাকে বাঁচিয়ে দেশ আর্থিক লাভবান হবে। এক কাঠা জমিতে এলিভেটেড টাওয়ার পার্কিং নির্মাণ করলে সেখানে ৫০টি গাড়ি পার্ক করতে পারে। রাজধানী সড়কসহ দেশের মহাসড়কগুলোর যানজট রোধে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া আশাব্যঞ্জক ফলাফল লাভ করা যাবে না। বর্তমানে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ-ময়মনসিংহ যানজটপ্রবণ মহাসড়কে ৫২টি স্পট এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬টি স্পটে ঈদের ছুটিতে যানজট বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে যমুনার বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সেখানেও যানজট দেখা দেবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাগুলো চিহ্নিত যানজটপূর্ণ স্পটগুলোয় যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে যে কৌশল অবলম্বনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়িত হলে যাত্রীদের জন্য আসন্ন ঈদযাত্রা অনেকটা আনন্দদায়ক হতে পারে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রকৌশলী

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close