ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ম্যানেজ করেই বাজারে যাচ্ছে ইলিশ
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১:৩১ এএম  (ভিজিট : ৩২০)
ভোলায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও কাগজে-কলমে বৈধতা নিয়ে ভোলার চরফ্যাশন থেকে বহু ইলিশ চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিস্ময়কর শোনালেও এমনটাই ঘটছে ভোলায়। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, এগুলো নিষিদ্ধ এলাকার বাইরের মাছ। কিন্তু নিষিদ্ধ এলাকার বাইরের ইলিশ চিহ্নিত করা আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মাইনুদ্দিনের মাছ ঘাট, সামরাজ, নতুন স্লুইস গেট, বকশি, পাঁচ কপাটসহ বেশ কয়েকটি মাছ ঘাট থেকে এসব মাছ যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয় সাধারণ জেলে ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রভাবশালী যারা ঘাট নিয়ন্ত্রণ করেন তারাই মূলত সবাইকে ম্যানেজ করে মাছ ধরছে এবং এসব মাছ বাইরে পাঠাচ্ছে। কিন্তু সব জেলে ইলিশ ধরতে বা পাঠাতে পারছে না। এজন্য তারা ক্ষুব্ধ। সবার জন্যই সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবি সাধারণ জেলেসহ মাছ ব্যবসায়ীদের। 

দ্বীপ জেলা ভোলা। এখানে কয়েক লাখ জেলে রয়েছেন যারা সম্পূর্ণভাবে মাছ শিকারের ওপর নির্ভরশীল। ইলিশসহ অন্যসব মাছ ধরা নিষিদ্ধ হলে এই মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়ে যান। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ী ও অসাধু কর্মকর্তা মিলে সরকারের ইলিশ রক্ষার উদ্যোগকে বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। খোঁজ করতেই বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। 

সরেজমিন চরফ্যাশনের চেয়ারম্যান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০৯৯২ নম্বরের একটি বড় পিকআপে ইলিশসহ অন্যসব মাছ বোঝাই করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এটা নতুন নয়, প্রতিদিনের ঘটনা। এভাবেই প্রতিদিন পিকআপ ও ট্রাকবোঝাই করে ঢাকায় যাচ্ছে ইলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মূলত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব করা হচ্ছে। প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীরা উপজেলা মৎস্য অফিসে গিয়ে এসব ম্যানেজ করেন। একটি স্বাক্ষর করা কাগজ নিয়ে আসেন তারা। এসব ব্যবসায়ী রাস্তায় হয়রানি বন্ধের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সঙ্গে রাখছেন যেখানে লেখা থাকে কত কেজি মাছ আছে। তবে সেখানে কত ঝুড়ি মাছ আছে কিংবা কোন ট্রাকে যাচ্ছে বিস্তারিত কিছুই লেখা থাকে না। 

এসব বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, আমার প্রতিনিধিরা স্পটে থাকেন। তারা দেখে আমাকে জানালে আমি চিঠি দিই। এসব মাছ মূলত নিষিদ্ধ এলাকার বাইরের। নিষিদ্ধ এলাকার ইলিশ নয় তা কীভাবে বোঝা সম্ভব জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানিয়ে ইলিশ ধরা ট্রলার কিনারে নিয়ে আসে। আর তাতেই বুঝি এসব নিষিদ্ধ এলাকার মাছ নয়।

উল্লেখ্য, ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বেশির ভাগ নদ-নদীসহ অন্যসব জেলার ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সরকার মার্চ ও এপ্রিল মাসে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close