ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

অন্যের সনদ জাল করে ৯ বছর শিক্ষকতা, অবশেষে পড়লেন ধরা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম  (ভিজিট : ৫৩৩৪)
অভিযুক্ত শিক্ষক মোছা. আঞ্জুমান আরা। ফাইল ছবি

অভিযুক্ত শিক্ষক মোছা. আঞ্জুমান আরা। ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলার থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. আঞ্জুমান আরার বেতন ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী।

অভিযুক্ত মোছা. আঞ্জুমান আরা থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি নেন (ইনডেস্ক নং- ১১২৮৩৬৭)। দীর্ঘ ৯ বছর যাবত বেতন ভাতাও উত্তোলন করছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্তে জানা যায়, মোছা. আঞ্জুমান আরা চাকরি নিতে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্সের যে সনদটি দিয়েছে সে সনদটি প্রকৃতপক্ষে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা. আঞ্জুমান আরার। যার রোল নং- ২০১২০১২ রেজি: নং- ১২০০০১৬ সেশন ও পাশের সন ২০১২। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই সনদপত্রটি দিয়ে চাকরি নেন উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের শামস পাড়া এলাকার মো. নজির হোসেনের মেয়ে মোছা. আঞ্জুমান আরা।

একই ইউনিয়নের শামস পাড়া এলাকার ফারদিন হাসান ফাহিম নামে এক অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাউশি কর্তৃক তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। জাল সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১৮.১ (৪) ধারা অনুযায়ী তার বেতন ভাতাদি বন্ধে সুপারিশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্রটি চলতি মাসের ১৩ মার্চ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হলেও আজ (মঙ্গলবার) পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী।

থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী বলেন, মোছা. আঞ্জুমান আরার বেতন ভাতাদি বন্ধের চিঠির আলোকে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ওই শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অধিদপ্তর কর্তৃক বেতন ভাতাদি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের চিঠির আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  সনদ জাল করে শিক্ষকতা   বেতন-ভাতা বন্ধ   মাউশি   কুড়িগ্রাম   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close