ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

রমজানে জাবিতে খাবারের অব্যবস্থাপনা, ভোগান্তিতে ২ হাজার শিক্ষার্থী
প্রকাশ: রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম  (ভিজিট : ১০০৮)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নবনির্মিত শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলে খাবারের সুব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে হলের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ছয়টি আবাসিক হলের মধ্যে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি শেখ রাসেল হল চালু করা হয় এবং চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হল চালু করা হয়। 

চালু হওয়ার এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও শেখ রাসেল হলে এখন পর্যন্ত ডাইনিং চালু করা হয়নি। শুধুমাত্র ক্যান্টিন চালু রয়েছে, অন্যদিকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলেও ডাইনিং চালু করতে পারেনি হল প্রশাসন। রমজানের জন্য তড়িঘড়ি করে শুধুমাত্র ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। এই দুই হলে দুই হাজার শিক্ষার্থী থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেহেরির সময় শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের ক্যান্টিনে প্রায় ৫০০ জনের জন্য খাবার রান্না করা হয়, এর ফলে বাকি প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে খাবার খাওয়ার জন্য চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাদের খাবারের জন্য অন্য হলের ক্যান্টিন কিংবা হল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের বটতলার খাবারের দোকানগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। রাতের বেলা রিকশা পাওয়া যায় না বলে যাতায়াতেও সমস্যা হয় শিক্ষার্থীদের। আবার হলে ডাইনিং থাকলে যে খাবার শিক্ষার্থীরা ৩০ টাকায় খেতে পারতেন, সেই একই খাবার বাইরে থেকে খেতে শিক্ষার্থীদের ব্যয় হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

এদিকে হলের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বেশি রাখা হলেও খাবারের মান খুব একটা ভালো হয় না এবং পরিমাণেও কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার শাহ-পরাণ বলেন,  ‘আমাদের এখানে গ্যাস না থাকায় আমাদের কাঠ দিয়ে রান্না করতে হয়। কাঠ দিয়ে রান্না করার ফলে আমাদের খরচ বাকি ক্যান্টিন গুলোর থেকে অনেক বেশি হয় যার জন্য আমাদের এখানে খাবারের দাম তুলনামূলক একটু বেশি।’

শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মুন্না ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যান্টিনের প্রধান সমস্যা হলো খাবারে বৈচিত্র্যতা নেই বললেই চলে। কোন ভর্তা থাকে না। খাবারের মূল্য বেশি কিন্তু পরিমাণ কম। এতো টাকা দিয়ে সবার পক্ষে খাবার খাওয়া সম্ভব না। নির্দিষ্ট কিছু তরকারি ছাড়া কিছুই রান্না হয় না। তাছাড়া ক্যান্টিনে জনবলের অভাব রয়েছে। সবমিলিয়ে রমজান মাসে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

এ বিষয়ে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের শিক্ষার্থী রাশেদ বলেন, আমাদের হলে শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনায় ক্যান্টিন অপর্যাপ্ত। ডাইনিং চালু না হওয়ায় এ সংকট আরও প্রকট। সেহেরির সময় ক্যান্টিনে লাইন পড়ে যায় শিক্ষার্থীদের। কম উপকরণ, বেশি দাম, মাঝে মাঝে বাসি তরকারি আরও সংকট বাড়িয়েছে। সেহেরির জন্য অনেককেই অন্য হলের ক্যান্টিন, ডাইনিং কিংবা বটতলায় যেতে হচ্ছে। এতে করে আমাদের সময়, পরিশ্রম এবং ভোগান্তি বাড়ছে। রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের জন্য এ ভোগান্তি দুঃসহনীয়।

এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, ‘ডাইনিং চালু করার জন্য আমাদের সব কিছু প্রস্তুত শুধুমাত্র গ্যাস সংযোগ না থাকায় আমরা ডাইনিং চালু করতে পারছি না। আর গ্যাস ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে ১০০০ ছাত্রের রান্না সম্ভব না। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা অতি শীঘ্রই আমাদেরকে একটা সমাধান দিবেন বলে আশা করছি।’

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  রমজানে খাবারের অব্যবস্থাপনা   ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close