সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক মেয়ে নবজাতককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের চড়হামকুড়িয়া গ্রামের পূর্ব পাশের ভুট্টাক্ষেতে।
উদ্ধারকৃত নবজাতককে চিকিৎসার জন্য তাড়াশ ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর নবজাতককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান ম্যাগনেট জানান, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের চড়হামকুড়িয়া গ্রামের শামীম রেজার স্ত্রী লাবনী খাতুন ছেলেকে নিয়ে বোরো ধানের জমি দেখতে যান। এ সময় বোরো ধানের জমির পাশে ভুট্টাক্ষেতে তার ছেলে বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পায়। বিষয়টি লাবনীকে বললে তিনি ভুট্টাক্ষেতে গিয়ে নবজাতককে দেখতে পান। পরে লাবনী বাড়িতে ফিরে স্বামীকে বিষয়টি জানালে তার স্বামী শামীম রেজাসহ এলাকার লোকজন ভুট্টাক্ষেত থেকে ওই মেয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে তাড়াশ ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
লাবনী খাতুন বলেন, আমি সকালে ছেলেকে নিয়ে বোরো ধানের জমি দেখতে গেলে ভুট্টাক্ষেত থেকে ওই মেয়ে বাচ্চাটি দেখেতে পেয়ে বাড়িতে আনি। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাচ্চাকে তাড়াশ হাসপাতালে নেই। বর্তমানে বাচ্চাটি সমাজসেবা কার্যালয় আমার জিম্মায় রেখেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বাচ্চাটি হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। বাচ্চার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে, সুস্থ আছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, নবজাতক উদ্ধারের খবর জানার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাচ্চাটি সুস্থ আছে। ইউএনওর কাছে বাচ্চাটি দত্তক নেয়ার জন্য অনেকগুলো আবেদন পড়েছে। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, বাচ্চাটি দত্তক নেয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী বাচ্চাটিকে রাজশাহী সোনা মনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/