প্রকাশ: সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪, ৭:৫৪ পিএম (ভিজিট : ২৩০)
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাদল উদ্দিন নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানার ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নাটোর পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) রাতে বাগাতিপাড়া থানা থেকে তাদের দুজনকে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বাদল উদ্দিন বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বাদল উদ্দিন জানান, স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিলেন। পথে বিকেলে ক্ষিদ্র মালঞ্চি এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল সজিব খান ও আসাদুজ্জামান এবং পুলিশের স্থানীয় সোর্স বিদ্যুৎ তার পথরোধ করেন। এসময় হঠাৎ তারা আমার হাতে হ্যান্ড কাফ পরিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। জীবন বাঁচাতে দৌড়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় আশ্রয় নিলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা আসেন। পরে পুলিশ দুই সদস্য গিয়ে বলেন, আমার কাছে নাকি মাদক আছে। পরে তারা তল্লাশি করে তাদের কাছে থাকা দুটি কাগজ দেখিয়ে বলে এই যে দুই পুরিয়া হিরোইন পাওয়া গেছে। আমাকে হ্যান্ড কাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিছু পথে যেতেই গাড়ি থামিয়ে বলে ২০০০ টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দেবে। আমি বলেছি আমার কাছে অত টাকা নেই। আমার মানিব্যাগে ৪০০ টাকা নিয়ে ২০০০ টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।
নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পরই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছি। আজ তাদের দুজনকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো ব্যক্তির অপরাধের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দায় নিবে না। অপরাধী যেই হোক, তার শাস্তি হবেই। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধ অনুসারে তাদের শাস্তি হবে।
সময়ের আলো/আরআই