নাটোরের বড়াইগ্রামে গৃহবধূকে প্রকাশ্যে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে আতোয়ার রহমান লিটন নামে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আতোয়ার রহমান লিটন বড়াইগ্রাম পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং মৌখাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ লাকি খাতুন (৪০) একই মহল্লার হারুন অর রশিদের স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বামী হারুন অর রশিদ জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটনের ভাই আশরাফুল ইসলাম কিছুদিন আগে হারুন অর রশিদের বোন শিউলী খাতুনের কাছ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত দুই শতাংশ জমি কিনে নেন। এ সময় তারা কৌশলে হারুন অর রশিদের বাড়ির ভেতরের জমি লিখে নেন। এরপর থেকে কাউন্সিলর ও তার ভাই তাকে বাড়ি ভেঙ্গে নেয়ার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, তার ভাইয়ের বাড়ির কাজের লোক ও দুই মহিলা মিলে হারুনের স্ত্রী লাকি খাতুনকে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় কে বা কারা মারপিটের ঘটনা ভিডিও করে বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে ছড়িয়ে দিলে সাধারণ লোকজনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে নির্যাতিত গৃহবধূ এ ঘটনায় চারজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করলে (বৃহস্পতিবার) রাতে ওয়ার্ড কাউন্সিল লিটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।